ঢাকা
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি আয়োজিত ‘চলমান পরিস্থিতি উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চলমান সংকট একটি রাজনৈতিক সংকট। এর সমাধান রাজনৈতিকভাবেই হতে হবে। যদি তা না হয় তবে খুব বেশি দূরে নয় কাছাকাছি সময়ে জাতীয় পর্যায়ে মারামারির আভাস দেখছি। পাকিস্তান-ভারতের স্বাধীনতার জন্য যে রকম মারামারি হয়েছিল সেইরকম একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিলীন হতে পারে।
ড. এমাজউদ্দীন দাবি করে বলেন, আওয়ামী লীগ এবং গণতন্ত্র কোনদিন একসঙ্গে যায়নি আর যাবেও না। এটা হল আমাদের সব চেয়ে বড় দুঃখের কথা।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এমাজউদ্দীন বলেন, এখনো সময় আছে অতীত ও বর্তমানের দিকে তাকিয়ে এবং আপনার আশপাশের লোকগুলো কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিন। তারা কেউ আপনার পাশে থাকেনি। আগামীতেও থাকবে না। আপনি ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে দেখুন। মুসোলিনি কিভাবে মারা গেছে তার মৃত্যুর খবর কেউ জানেনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে এমাজউদ্দীন বলেন, তারানকো আলতু ফালতু কোন লোক না। তিনি জাতিসংঘের অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন কর্মকর্তা। তারা লোক চিহ্নিত করতে ভুল করেন না। তারানকো যদি বাংলাদেশের জন্য রক্ষী বাহিনীর বার্তা নিয়ে আসেন তবে সেটা আমাদের জন্য ভাল হবে না। আমরা অর্থনৈতিকভাবে যতটুকু এগিয়ে গেছি। সেটা অব্যাহত থাকবে না।
তিনি বলেন, এভাবে দেশ চালানো যায় না। দেশ চালাতে অনেক বই পড়তে হয়। বিরোধী দলের নেতা সম্পর্কে বাজে কথা বলে জনগণকে কাছে রাখা যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রভাবশালী পত্রিকা বাংলাদেশের রাজনীতিকে ‘টক্সিক’ রাজনীতি বলেছে।
এ সময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফর উল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ।