সেই টিভি এখন আর সাদা-কালো নেই, এইচডি-এলইডির আর্বিভাব ঘরে বসে খেলা দেখাটাকে প্রতিনিয়তই করে তুলেছে আকর্ষণীয়। প্রতিযোগিতার বাজারে সম্প্রচারকারীরাও প্রতিনিয়ত যুক্ত করছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। অবশ্য শুধু সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছাতেই নয়, আয়োজকরাও বিপণনের সুবিধার্থে জুড়ে দিচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা।
১৯৭৫ বিশ্বকাপ সম্প্রচারিত হয়েছিল এক প্রান্তে ক্যামেরা বসিয়ে। সেই ক্যামেরার সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এখন ছাড়িয়ে গেছে ন্যূনতম ২৯ থেকে ৩৬ পর্যন্ত! শুধু কি তাই, এবারের আসরে চোখ রাখতে আল্ট্রামোশন ক্যামেরা, স্পাইডার ক্যাম এবং ড্রোন ক্যামেরাও থাকছে। থাকছে রিয়েল টাইম স্নিকোমিটার এবং এলইডি স্টাম্প। অবশ্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কিছু উপকরণ এখনই ‘ফাঁস’ করতে রাজি নয় স্টার স্পোর্টস, শেষ মুহূর্তে টিভি দর্শকদের তাক লাগিয়ে দিতে চায় যে তারা!
ঘরে বসে আতশি কাচের নিচে ম্যাচ শুধু দেখবেনই না, বিখ্যাত ধারাভাষ্যকারদের কণ্ঠে শুনতে পাবেন নিখুঁত বিশ্লেষণও। কে নেই ধারাভাষ্যকারদের এ প্যানেলে! সুনীল গাভাস্কার, ওয়াসিম আকরাম, সৌরভ গাঙ্গুলী, রমিজ রাজা, রাহুল দ্রাবিড়, ইয়ান বোথাম, অ্যালান ডোনাল্ড, শেন ওয়ার্ন, সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, ব্রেট লি, মার্ক টেলর. মার্ক ওয়াহ, টম মুডি, নাসের হুসেইন, মাইকেল হাসি, ম্যাথিউ হেইডেন, ডিন জোন্সসহ আরো অনেক সাবেক তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে ধারাভাষ্য দেবেন হার্শা ভোগলে-অ্যালান উইলকিন্সরা।
এমন জমজমাট আসর যে টিভি দর্শকদের টানবেই, সে ব্যাপারে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন, ‘আমরা আশা করছি ২০১৫ বিশ্বকাপ হবে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে আকর্ষণ ইভেন্ট। ধারাভাষ্যকারদের দল যেমন দক্ষ, তেমনি টিভি সম্প্রচারেও ব্যবহার করা হবে সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি। গ্রাফিক্যাল বিষয়গুলো টিভির দর্শকরা দারুণ উপভোগ করবেন।’ মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনেও উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোর রিপ্লে দেখানো হয়। কিন্তু টিভিতে সেটি বারবার দেখা যায় এবং সেটির বিশ্লেষণও মিলিয়ে নেওয়া যায় ধারাভাষ্য কক্ষে থাকা সাবেক কোনো খ্যাতিমান ক্রিকেটারের সঙ্গে।
তাই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড যেতে পারেননি তো কী, নাই-বা পেলেন টিকিট; ঘরে বসেই দেখুন ২০১৫ বিশ্বকাপ! ক্রিকইনফো