পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নামে ফোন করে বলা হয় বিএনপির ‘নিখোঁজ’ যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে গাইবান্ধার একটি চরে সিরাজ মাস্টার নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে দেখা গেছে। এ ফোন পেয়ে গাইবান্ধার জেলা পুলিশ ও র্যাবের একটি যৌথ দল গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ওই এলাকায় অভিযান চালায়। কিন্তু পুলিশের তল্লাশিতে সালাহ উদ্দিনকে, এমনকি সিরাজ মাস্টার নামের কোনো ব্যক্তির বাড়িই খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং করে জানতে পারে, যে নম্বরটি থেকে ফোন দেওয়া হয়েছিল সেটি চট্টগ্রামের। ততক্ষণে ফোনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যায় এই খবরে গাইবান্ধা জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় সংবাদকর্মীদের মধ্যে। সংবাদকর্মীদের পাশাপাশি উৎসুক জনতা ভিড় জমায় ফুলছড়ির যুমনা নদীর বালাসী ঘাটে। উৎসুক জনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এমনকি সেখানে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি অ্যাম্বুল্যান্সও রাখা হয়, যাতে প্রয়োজন হলে সালাহ উদ্দিনকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানো যায়। রাত ১০টার দিকে খবরের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে জনতার ভিড় কমতে থাকে। ফিরে যায় অ্যাম্বুল্যান্সটিও। সংবাদকর্মীদের অসংখ্য ফোন কল রিসিভ করতে হয়।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে জানানো হয়, নিখোঁজ বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ ফুলছড়ি উপজেলার চর খাটিয়ামারি এলাকার সিরাজ মাস্টার বলে এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ তাঁকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে র্যাব-পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু মধ্যরাত পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই এলাকায় সালাহ উদ্দিন বা সিরাজ মাস্টার নামের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি ওই এলাকায় সিরাজ মাস্টারের বাড়ি বলেও কোনো বাড়ি নেই। পরে পুলিশ জানতে পারে, যে টেলিফোন নম্বর থেকে ওই খবরটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হয়েছিল, সেই নম্বরটি বন্ধ এবং সেটি চট্টগ্রামের একটি নম্বর।
রাত সাড়ে ১১টায় সর্বশেষ এ প্রতিবেদন লেখার সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন জানান, তখন পুলিশের তল্লাশি চলছিল। তবে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, খবরটি সম্ভবত ছিল ভুয়া।