সালাহ উদ্দিন নিখোঁজের তিন দিন আগে আটক হন গাড়িচালক

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ নিখোঁজের অন্তত তিনদিন আগে তাঁর দুই গাড়িচালক ও ব্যক্তিগত কর্মীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকি সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই তার গুলশানের বাসায় ও তার ঘনিষ্ঠদের বাসায় তল্লাশী চালানো হয়েছিলো।

সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমদ এসব অভিযোগ করেছেন।

হাসিনা আহমদ বলেন, এত কিছুর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া অন্য কে তাঁকে (সালাহ উদ্দিন) ধরে নিয়ে যেতে পারে, তার জবাব তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর পক্ষ থেকেই আসা উচিত। তারা তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল। এর মধ্যেই একদল তাঁকে ধরে নিয়ে গেল। অথচ এখন সবাই বলছে, তারা কেউই সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেনি। তাহলে তিনি কোথায় গেলেন। এর মধ্যেই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারদলীয় লোকজন বলা শুরু করেছেন, তিনি কোথাও লুকিয়ে আছেন, আর আমরা নাটক করছি।

তিনি বলেন, বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে বক্তব্য-বিবৃতি পাঠানোর কাজ শুরুর পর থেকেই সালাহ উদ্দিনকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ। একাধিকবার গুলশান ২ নম্বরে তাঁর বাসায় পুলিশ হানা দিয়েছে। সালাহ উদ্দিনকে ধরে নেওয়ার দুই সপ্তাহ আগে ডিবির একটি দল গুলশানের বাসার বিভিন্ন ঘর দেখেছে, তল্লাশি করেছে। প্রায় প্রতিদিনই পুলিশের লোক এসে বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে সালাহ উদ্দিনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করতেন। তিনি বলেন, ‘সব সময়ই যে একটা নজরদারি চলেছে, তা আমরা বুঝতে পারতাম।

হাসিনা আহমদ বলেন, এর মধ্যেই ৭ মার্চ সালাহ উদ্দিনের দুই গাড়িচালক শফিক ও খোকনকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। একই দিনে বাড্ডা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সালাহ উদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী ওসমান গণিকে। ৯ মার্চ তাঁর ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়েছে। ওই ব্যবসায়ীর কার্যালয়ের দুই কর্মীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।

এদিকে, সালাহ উদ্দিন আহমদের ঘটনায় দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে গতকাল বুধবার দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। সংগঠনটি সালাহ উদ্দিনের নিখোঁজ হওয়াকে গুম বলে অভিহিত করেছে।

সূত্র: প্রথম আলো

 

Exit mobile version