নানা জল্পনা-কল্পনার পর ঢাকা উত্তর দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম তিন সিটি নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হলেও ভোট সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভাবে পরিচালনা করতে ইসির যতটুকু ক্ষমতা সেনা বাহিনীকে দেওয়া দরকার তার কিছুই পাবেনা সেনাবাহীনি ।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, সেনাবাহিনী মোতায়নের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনাররা পক্ষে বিপক্ষে মত দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে উত্তেজনাও চলছিল। সর্বশেষ এক কমিশনার সিসিকে বলেছিলেন সেনাবাহিনীর দাবি যখন উঠেছে, তাহলে দিয়ে দেন। আর সেনাবাহিনী দিলে সমস্য কি? তাদের দরকার লাগলে ডাকা হবে না লাগলে তারা ব্যাটেলিয়নে থাকবে।
সূত্র আরো জানায়, সেনাবাহিনী থাকলে দেশের সাধারন মানুষ আস্থা পায়। তাদের উপস্থিতে মানুষ প্রতিকুলতার ভেতর দিয়েও ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে আসে। কিন্তু নিজ সমর্থীত প্রার্থীর প্রচারনাই এসে হামলার সিকার হওয়া, আশুলিয়ায় দিনে দুপুরে মানুষ হত্যা করে ব্যাংক ডাকাতি, ক্ষমতাসীনদের নির্বাচনি আচরন বিধি ভঙ্গ থেকে শুরু করে বর্তমানে নির্বচনের আগে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তারপর কেন ইসি সিটি নির্বচনে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতাসহ মাঠে নামাবে না এনিয়ে ইসির অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ চলছে।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ সিসিকে অনুরোধ করেছিলেন, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা সেনাবাহিনী চেয়েছি। তাদেরকে যেন সবধরনের ক্ষমতা দেওয়া হয়। কারণ তাদের দেখলে মানুষ আস্থা পায় নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারে ।
অন্য দিকে মঙ্গলবার সশস্ত্র বাহিনীকে ইসি চিঠি পাঠালেও তা পরিবর্তন করে বুধবার আবারো কিছু কথা যোগ করে একই ভাবে চিঠি পাঠানো হয়। ঐ চিঠির পর আরো পরিষ্কার হয় যে, নির্বচনে সেনা বাহিনী মাঠে থাকছে না। তারা মূলত ব্যাটেলিয়নেই থাকবেন।
এ ব্যপারে নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সেনা বাটেলিয়নে থাকবেন আর ক্যান্টমেন্ট সিটির ভিতরেই যখন প্রয়োজন পরবে তখনই রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের ডাকবেন।
ঢাকা উত্তরের বিএনপি সমর্থীত পার্থী তাবিদ অওয়ালের কছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইসি নির্বাচনের আগে সকল প্রার্থীকে নিরপত্তা দিতে চাইলেও বাস্তবে তার কিছুই দিচ্ছেনা। আমরা আসা করি বেগম খালেদা জিয়ার উপর যারা হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ইসি ব্যবস্থা নিবে এবং নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনি কাজে লাগাবে।
উল্লেখ্য- আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত তিন সিটিতে সেনাবহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছির ইসি।