সালাহ উদ্দিনের জামিন শুনানি ২৯ মে

বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনের জামিনের আবেদন করা হয়েছে। আদালত আগামী ২৯ মে শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

আজ শিলং টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসিনা আহমদ স্বামী সালাহ উদ্দিনের জন্য শুক্রবার শিলংয়ে প্রথম শ্রেণির বিচারিক আদালতে একটি জামিনের দরখাস্ত করেছেন। আদালত তা গ্রহণ করে ২৯ মে শুনানির দিন ধার্য করেন।

জামিন আবেদন করা হলেও সালাহ উদ্দিনকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

বর্তমানে তিনি নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ ও মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বুধবার বিকেলে তাকে সিভিল হাসপাতাল থেকে ওই বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এখানে ভর্তি অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে সালাহ উদ্দিনের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তিনি কিডনি, হার্ট, মূত্রাশয় ও ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন।
তবে শুক্রবার তার অবস্থা ‘স্বাভাবিক’ বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

শিলং আদালতের একজন সরকারি কৌঁসুলি জানিয়েছেন, জামিন আবেদনে হাসিনা আহমদ উল্লেখ করেছেন যে, তার স্বামী সালাহ উদ্দিন চলতি বছরের ১০ মার্চ নিখোঁজ হন। সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় থানায় অপহরণের অভিযোগে এফআইআর করতে গেলে পুলিশ তা নথিভুক্ত করতে অস্বীকৃতি জানায়।

পরে তিনি এ ঘটনায় দেশে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রতিমাসে সালাহ উদ্দিনের ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি জানানোর নির্দেশ দেন।

সালাহ উদ্দিন আহমদ চিকিৎসাধীন থাকায় মেঘালয় পুলিশ প্রকৃতপক্ষে সালাহ উদ্দিনের ঘটনার কোনো তদন্ত করতে পারেনি। এই অবস্থায় তার জামিন পাওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ওই সরকারি কৌঁসুলি।

আবেদনে বলা হয়েছে, সালাহ উদ্দিন আহমদ গুরুতর অসুস্থ। সুস্থ্য হওয়ার জন্য বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন তার।

সালাহ উদ্দিনের পাসপোর্ট ও বিদেশে বিশেষ করে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নেয়ার ভিসাও আবেদনের সঙ্গে আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।

দুই মাস ‘নিখোঁজ’ থাকার পর ১১ মে শিলংয়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদের খোঁজ পাওয়া যায়। সেখান থেকে তিনি স্ত্রী হাসিনা আহমদকে ফোন করেন। এর মধ্যদিয়ে সালাহ উদ্দিনের নিখোঁজ হওয়ার অবসান ঘটে।

কিন্তু তিনি কিভাবে শিলং গেলেন তার রহস্য এখন পর্যন্ত

Exit mobile version