আওয়ামী লীগ নেতা বাবুর ১১ দিনের রিমান্ড

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোকাররম মিয়া বাবুর ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি মামলায় আরো চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এনিয়ে দুটি চাঁদাবাজি মামলায় মোট ১১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হলো।

মঙ্গলবার অপর একটি চাঁদাবাজি মামলায় পুলিশের আবেদন করা সাত দিনের রিমান্ডের দীর্ঘ শুনানী শেষে বেলা ১২টা ২৮ মিনিটে ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. হামিদুর রহমান চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসীদের গডফাদার, ক্ষমতার অপব্যাবহারকারী, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত সুনির্দিষ্টভাবে ছয়টি চাঁদাবাজি মামলার আসামি এক সময়ের অত্যন্ত ক্ষমতাশালী ব্যাক্তি মোকাররম মিয়া বাবুকে স্পেশাল সিকিউরিটি দিয়ে আলাদা একটি প্রিজন ভ্যানে করে আনা হয় আদালত চত্বরে। প্রিজন ভ্যানের সমানেও পুলিশের আলাদা একটি গাড়ি ছিল। নিয়ম অনুযায়ী প্রায় শেষ দিকে বেলা ১২ টা ১০ মিনিটে মোকাররম মিয়া বাবুর মামলার শুনানী শুরু হয়। এ সময় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. হামিদুর রহমান সবাইকে এক সাথে কথা না বলে এক এক করে সুশৃঙ্খলভাবে কথা বলার জন্য অনুরোধ জানান।

শুনানী শুরু করেন আজকের চাঁদাবাজি মামলার বাদী শহর যুবলীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন বরকতের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট স্বপন কুমার পাল। স্বপন পাল রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, “আসামি একজন চাঁদাবাজ। মামলার বাদীর কাছ থেকে একটি চেকেরে মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন আরো ৫০ লাখ টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন এবং ভয় ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন মোকাররম বাবু ও তার লোকজন।

মামলার সাথে চেকের নম্বর পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। আসামি বাবুকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ তার সাথে আরো কারা কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত এবং চাঁদার ৫০ লাখ টাকা কোথায় রেখেছেন তা উদঘাটনের জন্য রিমান্ডের কোন বিকল্প নেই। পর্যায়ক্রমে স্বপন পালের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে রিমান্ডের পক্ষে জোরালোভাবে যুক্তি তুলে ধরেন অ্যাডভোকেট জাহিদ ব্যাপারী।

আদালতের বিচারক এ সময় সবাইকে থামিয়ে দিয়ে ১২টা ২৮ মিনিটে জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ইকবাল এবং গোলাম মো. নাসিরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোকাররম মিয়া বাবুর বিরুদ্ধে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় একটি ধর্ষণ ও ছয়টি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের হয়েছে। বাকী মামলা গুলোতেও পর্যায়ক্রমে বাবুর রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানা গেছে।

এছাড়া বাবুর অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশন একজন বিশেষ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে বলেও জানা গেছে।

Scroll to Top