আনন্দ ভাগাভাগি করতে বঙ্গবন্ধুর সব নাতি-নাতনি লন্ডনে

শেখ রেহানা কন্যা টিউলিপ সিদ্দিকের নির্বাচন বিজয় উদযাপন করতে বঙ্গবন্ধুর সব নাতি-নাতনি এখন লন্ডনে। টিউলিপ ও শেখ রেহানার ছোট মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তী বসবাস করেন লন্ডনেই।রেহানার ছেলে রেজোয়ান সিদ্দিক ববি বাংলাদেশে, আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও কন্যা সায়েমা হোসেন পুতুল আমেরিকা ও কানাডায়। বঙ্গবন্ধুর জীবিত দুই কন্যার এই পাঁচ সন্তানই এ মুহূর্তে লন্ডনে।

ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনের কয়েক দিন আগ থেকেই বোন টিউলিপের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে সস্ত্রীক লন্ডনে অবস্থান করছিলেন ববি। তার সঙ্গে পরবর্তীতে ক্যাম্পেইনে এসে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়েমা হোসেন পুতুল। সর্বশেষ বিজয় সেলিব্রেশনের লক্ষে নির্বাচনের পরদিন শুক্রবার চার ভাইবোনের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে এসে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।

শনিবার (১০ মে) স্থানীয় সময় বিকেলে জয়ের লন্ডন আসার খবর দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা এই প্রতিবেদককে বলেন, খুশির আমেজ আমাদের এখনও শেষ হচ্ছেনা। এই খুশি ভাগাভাগি করতে আমার পাঁচ সন্তানই জড়ো হয়েছে লন্ডনে। আড্ডা, খুনসুঁটি করে সময় কাটাচ্ছে বাসায়। আমিই মনে হয় এই মুহূর্তে পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী মানুষ।

রেহানা বলেন, ৭৫’র ১৫ই আগস্ট বাবা-মা, ভাই-ভাবীসহ সবাইকে হারিয়ে ভেবেছিলাম সুখের দেখা হয়তো আমাদের দু’বোনের কপালে আর নেই। বাবার আদর পাওয়ার বয়স যখন, তখন মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অধিকাংশ সময় তিনি কাটিয়েছেন জেলে অথবা দেশের এপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে, সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজে।

বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দেওয়ার পর মনে করেছিলাম এবার হয়তো তার কিছু বিশ্রামের সময় হবে, কাছে পাবো তাকে। কিন্তু সে ভাগ্যও আমাদের হয়নি। বাবা-মাকে হারিয়ে সন্তানদের মুখ চেয়ে চেয়েই আমরা দু’বোন পার করেছি বছরের পর বছর। এই সন্তানরা আজ বড় হয়েছে, সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, এরা যখন কোনো সময় একত্র হয় তখন আমাদের আর খুশির সীমা থাকেনা।

রেহানা বলেন, আমার বাবা একটি জনগোষ্ঠীকে উপহার দিয়েছিলেন একখন্ড স্বাধীন আবাসভূমি, আর আমার সেই ‘পিচ্চি মেয়েটি’ আজ পৃথিবীর অন্যতম শক্তিধর দেশ ব্রিটেনের এমপি। ইতিহাসে এমন নজির মনে হয় খুব কমই আছে। আজ আমাদের দু’বোনের আনন্দের দিন। সেই আনন্দ ভাগাভাগি করতেই আমাদের সব সন্তান আজ জড়ো হয়েছে লন্ডনে। তাদের এই মিলন আমাদের খুশির আমেজ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

Exit mobile version