আমি ২০১৩ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ বাতিল করেছিলাম। কারণ আমার প্রাণনাশের হুমকি ছিল। যদি আমার কিছু হতো (বৈঠকে যাওয়ার পথে), আমাদের বিরোধীরা এজন্য জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করার পরিকল্পনা করেছিল।
ভারতের দ্য সানডে গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এসব কথা বলেছেন।
গতকাল শনিবার খালেদা জিয়ার এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি। সেখানে সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে তার সঙ্গে হওয়া বৈঠকের বিষয়েও খোলামেলা কথা বলেছেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ‘খুবই সন্তোষজনক বৈঠক হয়েছে। মোদিজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করাটা ছিল চমৎকার। আমি অবশ্যই বলব- খুবই আন্তরিক পরিবেশে বৈঠকটি হয়েছে। আমি খুবই সন্তুষ্ট।’
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, ‘এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও আমার সাক্ষাৎ বানচালের চেষ্টা করেছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।’
বাংলাদেশ সফরে এসে গত ৭ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় খালেদা জিয়ার। এরপর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন দ্য সানডে গার্ডিয়ানের সাংবাদিক সৌরভ স্যানাল।
এতে খালেদা জিয়া মোদির সঙ্গে তার সাক্ষাতের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তার দলকে ভারতবিরোধী বলে আখ্যায়িত করে যে প্রচারণা হয় তার বিরুদ্ধে তিনি কথা বলেন।
ওই সাক্ষাৎকারে মোদির সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, ওই বৈঠক হয়েছিল ওয়ান-টু-ওয়ান। আমি আসলে পুরোটা বলতে পারব না যে, আমরা আসলে কি কি বিষয়ে কথা বলেছি। তবে সুনির্দিষ্টভাবে এটা ছিল অত্যন্ত সন্তোষজনক বৈঠক।’
মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ হবে কি হবে না এমন একটি দোলাচল যখন সৃষ্টি হয় সে সময় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি কি কখনো বলেছি মোদিজির সঙ্গে আমি বৈঠক করব না। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর তাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানিয়েছি।’
খালেদা জিয়া প্রশ্ন রাখেন, ‘আপনি কি আমার দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন নেতাকর্মীর মুখ থেকে শুনেছেন যে, আমি মোদিজির সঙ্গে বৈঠক করব না। বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের নেতা মোদিজি। তিনি দুদেশের মধ্যকার বন্ধন শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।’