খালেদার থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে: সুরঞ্জিত

33

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। সালাহ উদ্দিন আহমদের প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে তিনি অন্তর্ধানে নন, আত্মগোপনে ছিলেন। রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে আজ বুধবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বিএনপির ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমসহ বাকি নেতাদের কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন তার দায় দায়িত্ব এখন খালেদা জিয়ার। তিনি বলেন, বিরোধী দল গণতন্ত্রে অনিবার্য। বিরোধী দল ছাড়া গণতন্ত্র হয় না। তারা কেউ গুম হয়ে যান, অর্ন্তধান হয়ে যান এটা কারো কাছে কাম্য নয়। রাজনীতি মানবিক। সালাহ উদ্দিন আহমদের অর্ন্তধান আমাদেরকে মর্মাহত করেছিলো। দু মাস পরে যে খবরটি এসেছে এতে বোঝা যায় থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, এটি গুম, অর্ন্তধান কিংবা নিখোঁজ নয়, আত্মগোপন। আত্মগোপন আর গুম এক জিনিস না। এ আত্মগোপন দলের নির্দেশে হতে পারে, দলীয় নেতার নির্দেশে হতে পারে। রাজনৈতিক কারণেও হতে পারে। এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে আত্মগোপন দলীয় প্রধানের নির্দেশে করা হয়েছে। সেই সময়ের রাজনীতিকে আরও একটু সঙ্কটে পরিণত করার জন্য। তাকে আত্মগোপন করে সরকারকে গুমের অপরাধে অপরাধী করবেন এটা অত্যন্ত শঠতাপূর্ণ রাজনীতি। এটি আক্রোশ ও বিদ্বেষমূলক, মন্তব্য করেন তিনি।

সুরঞ্জিত বলেন, আমাদের বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বললেন র‌্যাবের কাছে আছে। এমনভাবে বললেন যে তিনি দেখেছেন। এই ধরণের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে আমরা পরিচিত নই। এটা অপরাজনীতি। এই অপরাজনীতির সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া আপনি এবং আপনার দল জড়িত। সালাহ উদ্দিন আহমদ কোথায় ছিলেন। দুই মাস পর তার মনে নাই। কিন্তু তার স্ত্রীর টেলিফোন নম্বর মনে আছে। আমাকে যে পাওয়া গেছে-এই কথাটি গণমাধ্যমেকে জানাতে হবে এটা মনে আছে। সেখানকার গণমাধ্যমে রাজনৈতিক কথা বলেছেন-সেটা মনে আছে। কিন্তু কোথায় ছিলো সেটা মনে নেই! আমি মনে করি থলের বিড়াল বেড়িয়ে এসেছে, যোগ করেন সুরঞ্জিত।