জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে লাঞ্ছিত করল পুলিশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাকিব আহমেদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে পুলিশ। আজ শনিবার রাতে রাজধানীর উত্তরা হাউস বিল্ডিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রাকিব আহমেদ বলেন, আজ রাত দশটার দিকে সিলেট যাওয়ার জন্য তিনি তাঁর মা-বাবাকে নিয়ে ব্যক্তিগত গাড়িযোগে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে যাচ্ছিলেন। গাড়ি উত্তরা হাউস বিল্ডিং এলাকায় পৌঁছালে ইমরান নামে ট্রাফিক পুলিশের একজন সার্জেন্ট গাড়ি থামাতে বলেন। গাড়ি থামানোর পর ওই কর্মকর্তা গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান। এ সময় রাকিবের গাড়িচালক কাগজপত্র দেখান।

কাগজপত্র হাতে নেওয়ার পর ওই কর্মকর্তা গাড়ি জব্দ করা হবে জানান। এমন পরিস্থিতিতে রাকিব ওই কর্মকর্তাকে অনুরোধ করে জানান, তিনি মা-বাবাসহ সিলেট যাচ্ছেন। ট্রেন ১০টা ২০ মিনিটে। তিনি ওই কর্মকর্তাকে গাড়ির কাগজপত্র রেখে দিয়ে তাঁদের রেলস্টেশন পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ করে দিতে অনুরোধ করেন।
রাকিব আহমেদ বলেন, এরপরও ওই কর্মকর্তা রাজি হচ্ছিলেন না। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বলে পরিচয় দেন। কিন্তু এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। বিশ্ববিদ্যালয় ও তাঁর মা বাবাকে নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে ওই কর্মকর্তা রাকিবের গলা চেপে ধরেন। ওই সময় আশপাশে থাকা আরও কয়েকজন পুলিশ তাঁকে মারধর করতে থাকেন।
একপর্যায়ে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে পুলিশ বক্সের কাছে নিয়ে যান তাঁরা। এ সময় আশপাশের লোকজনও ছেড়ে অনুরোধ করলে তাও রক্ষা করেননি ওই কর্মকর্তা। রাকিব বলেন, ‘অনুরোধের পরও একজন পুলিশ কর্মকর্তার এমন আচরণে আমি হতবাক ও মর্মাহত।’

আজ রাত সাড়ে দশটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মা-বাবা গাড়ি চালকসহ রাকিব উত্তরা হাউস বিল্ডিং এলাকায় ওই পুলিশ বক্সের সামনে ছিলেন। অভিযোগ ওঠা এসআই ইমরান পুলিশের কোন শাখায় কর্মরত তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এ ব্যাপারে তাঁর কোনো মন্তব্য নেওয়াও সম্ভব হয়নি। রাত সাড়ে দশটার দিকে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসাইন খান বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।

Exit mobile version