জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের টয়লেটে বহিরাগত এক মেয়েকে নিয়ে ধরা পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জহির রায়হান মিলনায়তনের ছাত্রীদের টয়লেটে এ ঘটনা ঘটে।
কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বহিরাগত এক মেয়েকে নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী প্রীতম আরিফ বিশ্ববিদ্যালয় জহির রায়হান মিলনায়তনে মেয়েদের টয়লেটে ঢুকে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর ও প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এসে তাদের উদ্ধার করেন।
প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল বলেন, ‘দুই জনকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের প্রক্টরের কাছে পাঠিয়েছি।’
আরিফকে ছাত্রলীগকর্মী দাবি করে মীর মশাররফ হোসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশফিক সরকার বলেন, ‘সে জুনিয়র কর্মী, এ জন্য তার সঙ্গে আমার সরাসরি পরিচয় নেই।’
আরিফ মেয়ে নিয়ে ধরা পড়েছে এমন কিছু জানেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি এখনো কিছু জানি না।’
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর সিকদার মো. জুলকার নাইন বলেন, ‘এটি একটি সাধারণ বিষয়। ছেলেটি তার বহিরাগহত গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করেছে। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। বিষয়টি মেয়ের অভিভাবককে জানানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে একই জায়গায় দর্শন বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের এক ছাত্র মেয়েকে নিয়ে ছাত্রীদের টয়লেটে প্রবেশ করেন। একই টয়লেটে ছেলে-মেয়ে প্রবেশ করা দেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়। পরে সেখান থেকে বের হলে মেয়েদের টয়লেটে কী করছিলেন- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে নিজেকে জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।