ডিএমপি কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে লাটিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ

পয়লা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের ডিএমপি কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ।

রোববার দুপুরে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ডিএমপি কার্যালয় অভিমুখে রওয়ানা হলে রাজধানীর মৎস্য ভবনের কাছে তাদেরকে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর লাটিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়। জলকামান দিয়ে গরম পানিও নিক্ষেপ করা হয়।

আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে।

তবে রমনা থানা পুলিশ দাবি করেছে, আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি লিটন নন্দী ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘নারীকে নিপীড়নের এমন ঘটনা অহরহই ঘটছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

লিটন নন্দী বলেন, ‘আমরা দৃষ্টান্ত চাই। এ ঘটনায় জড়িতদের এবং কর্তব্যে অবহেলাকারীদের শাস্তি চাই। সেই সঙ্গে এ ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় তার নিশ্চয়তা চাই।’ তিনি তাঁদের ছয় দফা দাবির পূর্ণ বাস্তবায়ন দাবি জানান। দাবিগুলো হলো দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের অপসারণ, পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার তদন্ত ও বিচার, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হাইকোর্ট নির্দেশিত যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা প্রণয়ন ও সর্বত্র নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয়ভাবে নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা প্রণয়ন করা।

এদিকে বর্ষবরণ উৎসবে নারী ও শিশুদের উপর নিপীড়নকারীদের গ্রেফতারসহ ৬-দফা দাবিতে ‘পাল্টা আঘাত’-এর ব্যানারে ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বিনা উস্কানীতে পুলিশের অতর্কিতে হামলার প্রেক্ষাপটে আজ বিকাল ৪টায় মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্র ইউনিয়ন।

Exit mobile version