তাজুলসহ জামায়াত নেতাদের অব্যাহতি

ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে মন্তব্য করায় অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমদ, নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানকে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

অপরদিকে শিবিরের সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট শিশির মনির, গাজী এম এইচ তানিম ও অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম নিজেও উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল ও ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।

পরে শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, আদালত অ্যাডভোকেট তাজুলকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং জামায়াতের ৩ নেতার আদালতে দাখিল করা ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়ে তাদেরকেও অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন ।তবে শিবিরের ২ নেতার ব্যাখ্যায় আদালত সন্তুষ্ঠ হননি। তাদের বিরুদ্ধে আবারও রুল জারি করেছেন।

শিশির মনির জানান, শিবিরের সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমানকে আইনজীবীর মাধ্যমে ৩ সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা জমা দিতে হবে। আগামী ২৪ মে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ৩ মার্চ জামায়াত নেতাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ১১ পৃষ্ঠার লিখিত জবাব দাখিল করেন।

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি আদালতে তাজুল ইসলামের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদোজ্জা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা সম্বলিত লিখিত জবাব দাখিল করেন।
জেয়াদ আল মালুম জানান, তাজুল ইসলাম আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। আর জামায়াত নেতারা জবাবের জন্য সময় চেয়েছেন।

গত ১২ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় নিয়ে মন্তব্য করায় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমদ, শিবিরের সভাপতি আবদুল জব্বার ও জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামসহ ৬ জনকে শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) দেন আদালত।

ওই দিন শোকজ নোটিশে “কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না” এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, জামায়াত নেতা আজহারের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়ার পর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন “ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন যে সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়েছে সেটা গ্রহণ না করে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলা হলেই সুবিচার হতো- এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ফাঁসিতো দূরের কথা প্রসিকিউশনের জরিমানা করা হলে ভালো হতো।”

Scroll to Top