রাজনৈতিক মধ্যস্থতার জন্য জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো ঢাকা আসতে আগ্রহী। কিন্তু সরকারের অনীহার কারণে তিনি আসতে পরছেন না। আর এ কারণেই জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বান কি মুন সরাসরি টেলিফোন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছিলেন, ফার্নান্দেজকে বাংলাদেশ নিয়ে বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
গতকাল সাথে আলাপকালে জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমি তারানকোর সাথে গত সপ্তাহে কথা বলেছি। তিনি ঢাকা আসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। আমি বলেছি, নির্বাচনের এখনো সাড়ে তিন বছর বাকি। এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা আড়াই বছর পর হতে পারে। বাংলাদেশে এখন কোনো সমস্যা নেই।
মোমেনের মতে, তার কথায় সন্তুষ্ট না হয়ে তারানকো জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবকে দিয়ে ঢাকায় ফোন করিয়েছেন।
মোমেন বলেন, সঠিক তথ্য জানার পর বাংলাদেশের সিটি নির্বাচন নিয়ে জাতিসঙ্ঘের অবস্থান পাল্টেছে।
এ দিকে নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, তারানকোর ঢাকা সফর সংক্রান্ত কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে তারানকো কোনো কথা বলেছেন কি না- প্রশ্ন করা হলে ফারহান হক বলেন, এ ব্যাপারে ঘোষণা দেয়ার মতো কোনো কিছু আমার কাছে নেই। কোনো অগ্রগতি থাকলে পরে জানানো হবে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের আগে তারানকো বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে ঢাকা এসেছিলেন। কিন্তু উভয়ের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটকে রাজি করাতে পারেননি। তবে ঢাকা অবস্থানকালীন তারানকো আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতাদের এক টেবিলে সংলাপে বসাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার এই প্রচেষ্টার পেছনে বাংলাদেশে নিযুক্ত পশ্চিমা সব ক’টি দেশের জোরাল সমর্থন ছিল। শেষ পর্যন্ত জাতিসঙ্ঘের এ বিশেষ দূত ঢাকা ছাড়ার পর সংলাপ ভেঙে যায়। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের বর্জনের মধ্য দিয়ে একতরফা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।