পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে গ্রেফতারকৃত শাহ আলমকে ছিনতাই করে নিয়েছে স্থানীয়রা। ওই হামলায় ডিবি পুলিশের কর্মকর্তাসহ ৮ পুলিশ আহত হয়েছেন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ এ সময় ৮ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
আহত পুলিশ সদস্যরা জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গ্রেফতারকৃত আসামি ২০১৩ সালে পাঁচবিবি থানায় হামলাসহ জয়পুরহাটের গত ২ বছরের মধ্যে সংঘটিত অসংখ্য নাশকতার মামলার অন্যতম জামায়াত নেতা শাহ আলম (৩৫)।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের জামায়াতের প্রাক্তন আমির বর্তমান জামায়াতের জয়পুরহাট সদর উপজেলার সহকারী সেক্রেটারি ও হাঁটুভাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহ আলমকে ধরতে যায় ডিবি পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের একটি দল। হাঁটুভাঙ্গা গ্রামে গিয়ে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ খবর পেয়ে জামায়াত-শিবিরের শতাধিক নেতা-কর্মী মিরগ্রাম চৌমোহনী বাজারে সমবেত হয়। পুলিশের দল সেখানে পৌঁছালে মিটনা গ্রামের নাহিদ ও দেলোয়ারের নেতৃত্বে প্রথমে বাঁশ দিয়ে পুলিশের গতিরোধ করা হয়। তারপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর তারা হামলা চালিয়ে শাহ আলমকে ছিনতাই করে নেয়।
এ সময় ডিবির দুটি মোটরসাইকেল তারা ভাঙচুর করে। হামলায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ আটজন ডিবি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে ডিবির ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান (৪৫), এসআই আব্দুর রহিম (৫২), এসআই মো. সেলিম (৩৮), এসআই জাহাঙ্গীর আলম (৩০), পুলিশ সদস্য জাফর হোসেনকে (৪০) ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। এসপি সার্কেল বিমান চন্দ্র কর্মকার ও সদর থানার ওসি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হাটুভাঙ্গা, রহমতপুর, মিটনা, মিরগ্রাম, চৌমোহনী এলাকায় অবস্থান নিয়ে জামায়াত-শিবিরের হামলাকারীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে।