যশোরের শার্শা উপজেলার পল্লীতে একটি চশমা চুরির অপবাদ দিয়ে এক শিশুকে গাছে বেঁধে পিটিয়ে এবং শরীরে ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত জাকির হোসেনকে (১৫) শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
সে শার্শার নারিকেলবাড়ীয়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
এলাকার লোকজন জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে জাকির শিকারপুর বাজারের সোহারবের চায়ের দোকানে বসে টেলিভিশন দেখছিল। ওই সময় দোকানদারের একটি চশমা চুরি হয়ে যায়। তখন সোহরাব ও তার ছেলে শরিফুল ও রাসেল, পাশের ওয়েল্ডিং মিস্ত্রী জামির এবং খামারপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল জাকিরকে পায়ে দড়ি বেঁধে গাছে ঝুলিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এ সময় তার স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য গায়ে ফুটন্ত গরম পানিও ঢেলে দেয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনামুল হক জানান, বিষয়টি জানার পর রবিবার শার্শা থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। চা দোকানদার সোহরাবসহ ৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলামকে। অন্য আসামীদের আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
লক্ষণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘একটি চশমা চুরির অপবাদ দেওয়া হয়েছে শিশুটির বিরুদ্ধে। যদি শিশুটি চশমা চুরি করেও থাকে তাহলেও তাকে এভাবে পিটিয়ে গায়ে গরম পানি ঢেলে দেওয়া উচিৎ হয়নি। এটা অমানবিক।’