আনন্দের বন্যায় ভাসছে সাতক্ষীরা

19

বিস্ময় বালক মুস্তাফিজুর রহমানের কৃতিত্বে সাতক্ষীরার মানুষ আনন্দের বন্যায় ভাসছে। তার এই বিশ্ব রেকর্ড (প্রথম ম্যাচে ৫ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেট) ঘিরে মুস্তাফিজের গ্রাম কালিগঞ্জের তেঁতুলিয়ায় শুরু হয়েছে যেন ঈদের আনন্দ। চলছে মিষ্টি বিতরণ। বাবা-মাকে অভিনন্দন জানাতে বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন নানা শ্রেণির মানুষ। বড় পর্দায় খেলা দেখতে তেঁতুলিয়া ফুটবল মাঠে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। এছাড়া বাজারের দোকানে দোকানে খেলা দেখা নিয়ে সর্বত্র যেন চলছে উৎসব।
সাতক্ষীরার সাবেক ক্রিকেটার আল আমিন কবির বলেন, মুস্তাফিজের কৃতিত্বে এলাকার মানুষ হিসেবে যারপরনাই আনন্দিত ও গর্বিত।
সাবেক ক্রিকেট খেলোয়াড় খেলোয়াড় মার্শাল খোকন বলেন, মুস্তাফিজের এ অর্জন সাতক্ষীরার নয়, দেশের। মুস্তাফিজের জন্যই সাতক্ষীরা আর তেঁতুলিয়ার নাম সারা বিশ্বের ক্রিকেট প্রেমিকরা জানে। তারা অপেক্ষায় আছেন, মুস্তাফিজ কবে গ্রামে ফিরবে। এলাকার সাবেক ক্রিকেটার ফাইমুল হক বলেন, আমাদের সাতক্ষীরার মুস্তাফিজ বিশ্বজয়ের আকাঙ্ক্ষা তৈরি করে দিয়েছে।
আজকের অর্জনের জন্য কথা হলো মুস্তাফিজের প্রথম কোচ সাতক্ষীরার আলতাফ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, “মুস্তাফিজের এ কৃতিত্বে আমার চেয়ে খুশি আর কে হতে পারে। তার খেলা দেখার জন্য আগে থেকে এলাকায় বড় পর্দার ব্যবস্থা করেছি। আমি জানতাম ও বাংলাদেশকে নতুন পরিচয়ে পরিচিত করবে। সবাই বিস্মিত হবে।’ অপর কোচ মুফসিনুল ইসলাম বলছিলেন, ‘মুস্তাফিজ দেশের গর্ব। সত্যিই বিস্ময় বালক। ও সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস।
মুস্তাফিজের বাবা আবুল কাসেম গাজি জানান, এক সময় মনে হতো খেলে কী হবে। এই খেলায় মুস্তাফিজ দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। সে এখন ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন। খেলা শুরু হওয়ার পর থেকে শুধু দোয়া করেছি, যেন দেশের সম্মান রাখতে পারে।