বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডায় ফিশিং বোর্ড নিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করায় ভারতীয় দুই নাগরিকসহ ১৩ জনকেও আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সোমবার সকালে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ তাদেরকে গলাচিপা সিনিয়র জুডিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়েছে। রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে রাঙ্গাবালী থানার এসআই শহিদুল বাদী হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশপরগনা জেলার বাসিন্দা নিরঞ্জন দাস ও দিলীপ দাসের বিরুদ্ধে বর্ডার কন্ট্রোল-১ অনুযায়ী নিয়মিত মামলা করেন। একই সঙ্গে ভোলার লালমোহন উপজেলার গজারিয়া এলাকার পঙ্কজ দাস, স্বপন দাস, শাহ জালাল খান, আবদুর রব, নীরব, মো. হারুন, ইসমাইল হোসেন, আলমগীর হোসেন, ছাদেক হোসেন, জসিম উদ্দিন ও মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে ফৌজধারি কার্যবিধি ৫৪ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করায় ভারতীয় দুই নাগরকিকের বিরুদ্ধে বর্ডার কন্টোল-১ অনুযায়ী নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। আর বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে ফৌজধারি কার্যবিধি ৫৪ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার সকালে আটকৃত ১৩ জনকেই আমরা আদালতে পাঠিয়েছি। উল্লেখ্য, গত রোববার সকাল ১০ টার দিকে স্থানীয় জেলেরা চরআন্ডার কাছে বঙ্গোপসাগরে একটি অত্যাধুনিক ফিশিং বোর্ড দিয়ে ইলিশজাল ফেলতে দেখেন। এ সময় স্থানীয় জেলেদের একটি বহর এগিয়ে গিয়ে ট্রলারটিকে ঘিরে ফেলে ট্রলারে থাকা ভারতীয় দুই নাগরিকসহ ১৩ জনকে আটক করে। পরে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশের কাছে ট্রলারসহ আটকৃতদের সোপর্দ করা হয়।