আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, “নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন থেকে শুরু করে কুমিল্লা পর্যন্ত কোনো সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন পড়েনি। আর এখন এই নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হুকুম করলেই সেনাবাহিনী চলে আসবে-এটা সাংবিধানিকভাবে ঠিক নয়।”
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে বঙ্গবন্ধু একাডেমির এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, “নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবী ততই জোরদার হচ্ছে। তবে তার দাবি পুলিশ, বিজিবি ও আনসার দিয়ে বিগত সিটি নির্বাচনগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।”
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ হয় কেন আসন্ন সিটি নির্বাচনের প্রচারণা চালাচ্ছেন, এমন একটি প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু জয় কেন তার প্রকটল ছাড়া নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন না এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।”
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনি যদি নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারেন তবে আমাদের তরুণ প্রজন্মের নেতা সজীব ওয়াজেদ জয় কেন তা পারবেন না।”
খালেদা জিয়াকে কালো পতাকা দেখানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা শুরু তো আপনারাই করেছেন। মানুষ পোড়ানোর দায়ে জনগণই আপনাকে কালো পতাকা দেখাচ্ছে।”
সুরঞ্জিত বলেন, “নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাস, গরু, মানুষ পোড়ানো লোকদের দেখা যাচ্ছে। এসময় তিনি ওই সব লোকদের শহরে ঢুকতে না দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।”
পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় যৌন হয়রানির ঘটনা প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত বলেন, “যারা আমাদের স্বাধীনতা ও সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে তারাই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে পুলিশের গাফিলতি সরকারকে বিব্রত করেছে।”
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু, হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।