বাংলা নববর্ষকে শুভরূপে বরণ করে নিয়ে দেশের মানুষের যেন সুন্দর একটি বছর কাটে সে কামনার কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন বছর শান্তি বয়ে নিয়ে আসবে। আগামীতে মানুষকে যেন আগুনে পুড়ে মরতে না হয়, মানুষ যেন সুখে-শান্তিতে থাকে সেটাই প্রত্যাশা করি।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) গণভবনে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
পুরো বছরটা যেন সুন্দরভাবে কাটে এই কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন বছরে সবাই যেন সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করতে পারে, সবাই শান্তিতে থাকুক, সুখে থাকুক, সবার আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হোক এই কামনা করি। আর্থ-সামাজিকভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, দেশবাসীর উন্নতি হোক।
তিনি বলেন, অনেক ঝড়-ঝাপটা গেছে। বিশেষ করে ৫ জানুয়ারি পর থেকে ৯০ দিনের বেশি সময় ধরে দেশের মানুষ ভালো সময় কাটায়নি। মানুষ পোড়ানো, রেলে, বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা, এটা কোন ধরনের রাজনীতি সেটা আমার বোধগম্য নয়।
‘বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মারার যে কালচার শুরু করেছে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক’ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা অতীতে কোনো দিন এভাবে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারতে দেখিনি।
জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে ভালো কথা বিএনপির মানুষ পুড়িয়ে হত্যার বিরুদ্ধে মানুষে রুখে দাঁড়িয়েছে, প্রতিরোধ করেছে।
আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের ঘরে ঘরে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দিতে কাজ করছে জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক এই কামনা করি।
শুরুতেই আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীর, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আর্ন্তজাতিক সম্পাদক ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।