অর্থের বিনিময়ে নাশকতার ছবি তুলে নিজের মিডিয়া হাউজে দেওয়ার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনকে সরবরাহ করছেন-এমন ১০/১২ জন সংবাদকর্মীকে শনাক্ত করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার (১৬ মার্চ) দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ কথা জানান।
এসব সংবাদকর্মীকে অপেশাদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ফেসবুক পেজ বাশেরকেল্লার এডমিন ও চিফ এডিটর জিয়াউদ্দিন ফাহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং টেকনোলজিক্যাল এনালাইসিসের পর এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
মনিরুল বলেন, এসব কাজে সব টাকা দলীয় ফান্ড থেকে দেওয়া হতো। দলীয় মতাদর্শের কারণে তারা (সংবাদকর্মী) এসব করছে।
‘ফেসবুকে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্যচিত্র প্রচারের জন্য বাঁশেরকেল্লা ৩০ জনকে নিয়োগ দেয়। এদের মধ্যে ২০ জন ফুল টাইম এবং বাকিরা বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি এধরনের কর্মকাণ্ড চালাতেন,’ যোগ করেন তিনি।
ডিএমপি যুগ্ম-কমিশনার বলেন, পার্টটাইমারদের পোস্ট প্রতি ২ থেকে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার নজির পাওয়া গেছে। হিট বাড়লে টাকার পরিমাণ বাড়ানো হতো।
‘পুলিশ যাকে আটক করেছে তিনি বাঁশেরকেল্লার এডমিন নন’, বাঁশেরক্কেল্লার এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপির মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের লোক না ধরলে এ নিয়ে এতো মাথা ব্যাথা কেন? আমরা নিশ্চিত তিনিই (ফাহাদ) বাঁশেরকেল্লার এডমিন। বর্তমানে যে বাঁশেরকেল্লার পোস্ট দিচ্ছে তাকেও শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।’