- বাংলাভাষণ, বক্তৃতা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিষ্ঠিত করার দরকার নেই বলে মনে করেন পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের। তাঁর মতে, ‘বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত হয়েই আছেন। এই মাটি যত দিন থাকবে, বঙ্গবন্ধুকে উৎখাত করা যাবে না। বক্তৃতার চেয়ে বঙ্গবন্ধুকে আমরা কতটা অনুসরণ করি, এটাই মূল বিষয়।’
- আজ মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এখন রাজনীতিতে আদর্শ নেই মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি ব্যথিত হই বিভিন্ন রাস্তায় বঙ্গবন্ধুর ছবির পাশে চাঁদাবাজ, টাউট-বাটপার, ভূমিদস্যু ও লুটেরাদের ছবিসংবলিত ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড দেখে। এসব চাঁদাবাজ-টাউট-বাটপারের ছবি বঙ্গবন্ধুর পাশে দেখতে চাই না।’ - সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির মানুষ এ অপকর্ম করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। তাদের নিবৃত্ত করতে হবে। যেখানেই বঙ্গবন্ধুর পাশে চাঁদাবাজ, টাউট-বাটপার, ভূমিদস্যু ও লুটেরাদের ছবিসংবলিত ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড দেখবেন; সেগুলো ছিঁড়ে ফেলবেন। তাতেই বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে। আর এ কাজ (নিবৃত্ত) যাঁরা করবেন, তাঁরাই হবেন বঙ্গবন্ধুর সত্যিকারের আদর্শের অনুসারী।’
- ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি এতটাই প্রতিহিংসাপরায়ণ, অন্ধের পরামর্শ নেই আক্রোশের; এখানে কর্মসম্পর্ক কীভাবে গড়ে উঠবে?’ তিনি বলেন, একটা শ্রেণি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ও জয়কে অপহরণ চেষ্টা করে কর্মসম্পর্কের পরিবেশ বিষাক্ত করেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনেও হরতাল-অবরোধ ডেকেছে। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে? বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন সেতুমন্ত্রী। খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অযৌক্তিক কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনের যৌক্তিক পরিণতি নেওয়া যায় না। ভুল পথে ভালো ফল হয় না। বিএনপির আন্দোলন সরকার হটানোর জন্য নয়। তাদের আন্দোলন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে।’
- অভিনেত্রী দ্বারা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা সুজাত রায় নন্দী, ফরাসউদ্দিন মিয়া, শাহে আলম মুরাদ, অভিনেত্রী ফাল্গুনী হামিদ প্রমুখ।