টাঙ্গাইলের কালিহাতি এলাকায় ৫০ কোটি টাকা যৌতুকের দাবিতে পাষণ্ড স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ’র শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তুষ্টি। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহ তুষ্টির স্বামীর নাম নাজির উদ্দিন। তিনি সামরিক কর্মকর্তা বলে জানা গেছে।
নুসরাতে ছোট ভাই মুঈদ হাসান তড়িৎ শীর্ষ নিউজকে জানান, গত ২ বছর আগে তার বোন তুষ্টিকে বিয়ে দেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ’র শিক্ষাথী। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী নাজির উদ্দিন ও ও তার পরিবার যৌতুকের জন্য তুষ্টির উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়েছে। তাদের এক বছর বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। আর ওই সন্তানের কথা চিন্তা করে তাদের অত্যাচার সহ্য করে আসছিলেন।
২৯ মার্চ সোমবার তুষ্টির শ্বশুর বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতির হামিদপুরের বাড়িতে দিনভর তার উপর নির্মম শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
সোমবার সকালে – তুষ্টি বাথরুমে গিয়ে তার পরিবারকে মোবাইল ফোনে তার নির্যাতনের কথা জানান। এরপর খবর পেয়ে তুষ্টির ভাই, তড়িৎ, বাবা নুরুল ইসলাম, মা শাহনাজসহ অভিবাবকরা কালিহাতি থানা পুলিশের সহায়তায় সেখান থেকে তুষ্টিকে উদ্ধার করেন। এসময় পুলিশের সামনেই তুষ্টির স্বামী নাজিরউদ্দিন,তার বাবা ইদ্রিস আলী এবং তার মা নাজমা বেগম তুষ্টির বাবা, মা ও ভাইকে মারধর করে। পরে পুলিশের সহায়তায় তুষ্টিকে উদ্ধারের পর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার সকালে কালিহাতি থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলে তুষ্টির বড় ভাই শীর্ষ নিউজকে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কালিহাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনান ইকবাল শীর্ষ নিউজকে বলেন, বিষয়টি পারিবারিক সমস্যা। সামরিক কর্মকর্তার স্ত্রীকে তার পরিবার ঢাকা থেকে নিতে এসেছিলেন। কিন্তু তার স্বামীর বাড়ির লোকজন দিতে চায়নি। এবিষয়টি আমাদের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশ গিয়ে সামরিক কর্মকর্তার স্ত্রীকে তার পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ২ টা পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি বলে জানান তিনি।