‘এককালে সুন্দরী ছিলাম। তখন কিন্তু নিজেকে সুন্দরী বলে মনে করতাম না। সৌন্দর্য টৌন্দর্য নিয়ে মাথা মোটেও ঘামাতাম না। দিনরাত ব্যস্ত থাকতাম লিখতে, পড়তে, রোগি দেখতে আর হাজার রকম অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে। আয়নার সামনে দাঁড়াতামই না বললেই চলে। মুখে নিভিয়া ময়েশ্চারাইজার ছাড়া আর কিছু মাখতাম না। তবে হঠাৎ হঠাৎ কাজল পরতাম। টাঙাইলের সুতি শাড়ি পরতাম। শাড়িগুলো ছিল ১২০ থেকে ১৮০ টাকা দামের। বেইলি রোডে টাঙাইল শাড়ি কুটির নামে এক শাড়ির দোকান ছিল। ওটাই ছিল আমার শাড়ি কেনার দোকান। ডাক্তারি করে মাইনে পেতাম আড়াই হাজার টাকা। ও টাকা ছিল বিশাল টাকা। অত টাকা কী খাতে খরচ করবো তা-ই বুঝে পেতাম না।’