অনেকেই গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পছন্দ করেন। অবশ্য যাদের ঠাণ্ডা জনিত জটিলতা আছে তাদের জন্য সামান্য কুসুমগরম পানি খারাপ নয়। তবে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসলের উপকারিতা বলে শেষ করার নয়। এই অভ্যাসটা গড়ে তুলতে পারলে অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধান এমনিতেই হয়ে যাবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক কি কি উপকারিতা আছে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসলের৷
রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
রক্তের শ্বেত কণিকা বাড়াতে চাইলে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করুন। ঠাণ্ডা ত্বক নিজেই তাপ উৎপাদনের সময় রক্তে অধিক পরিমাণে শ্বেত কণিকার জন্ম দেয়। আর রক্তের এ কণিকা হলো আপনার দেহের সেনাবাহিনী। যেকোনো রোগের আক্রমণ ঠেকাতে এরাই যুদ্ধ করে। তাই দেহের সেনাবাহনীতে যোদ্ধা বাড়াতে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন।
দেহের রক্ত প্রবাহমাত্রা বাড়িয়ে দেয়:
মানুষের ত্বক ঠাণ্ডা জলের স্পর্শ পাওয়া মাত্রই সঙ্কুচিত হয়ে আসে। কারণ এসময় ত্বক কিছুটা তাপমাত্রা হারায়। ফলে রক্ত চলাচল কিছুটা ধীর গতিতে হতে থাকে। আবার এ কারণেই রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং শিরা-উপশিরায় দ্রুত গতিতে ধাবিত হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত রক্ত চলাচল আরও বেড়ে যায়।
পুরুষের শুক্রাণু পরিপূর্ণতা পায়:
অনেকেই হয়তো এ তথ্যটি জানেন না। ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে পুরুষের শুক্রাণু বৃদ্ধি পায়। কারণটি হলো, পুরুষের বীজাণু ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় দ্রুত পরিপূর্ণতা পায়। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে গরম জল শুক্রাণু বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে।
সহজাত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধির সুফল:
ঠাণ্ডা পানি গায়ে ঢাললে শীত লাগে। কারণ ত্বক তার স্বাভাবিক তাপমাত্রা হারায়। বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সাথে মানাসই হতে তখন দেহ নিজেই তাপ উৎপন্ন করে। এজন্য কিছু কার্বহাইড্রেট পোড়াতে হয়। গোটা ঘটনা দেহের সহজাত রাসায়নিক প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে।
পেশীর ক্ষত নিরাময় করে:
পরিশ্রমের সময় পেশীর কাজ হয়। তখন এর সূক্ষ্ম টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদের আবার পূর্বের সুস্থতা ফিরিয়ে দিতে বিশ্রামের দরকার। ঠাণ্ডা জল পরিশ্রমের পর পেশীকে আরাম দেয়। এতে পেশীর ক্ষত দ্রুত পূরণ হয়।
এছাড়া ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে পুরনো কিছু ব্যাথা কমে আসতে পারে, চুলকানি দূর হয়, স্নায়বিক দুর্বলতা দূর হয়, চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পায়, ঘুমের সমস্যা দূর করে ও দেহের অস্বস্তিকর উত্তেজনা প্রশমিত হয়।