১. সূর্যতাপ এড়িয়ে চলুন : সূর্যতাপ ত্বকের রং ও উজ্জ্বলতা নষ্ট করে। তাই সরাসরি সূর্যতাপ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। গরমে রিকশায় যাতায়াতের সময় হুড তুলে রাখতে হবে। রোদে হাঁটার সময় ছাতা ব্যবহার করতে হবে। সানস্ক্রিন মুখ ও দেহের উন্মুক্ত অংশে ব্যবহার করতে পারেন।
২. যোগ ব্যায়াম করুন : গরমে শরীর ও মন শীতল রাখার জন্য যোগ ব্যায়ামের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে কয়েকটি যোগ আসন রয়েছে দেহ শীতল করার জন্য। প্রতিদিন এ আসনগুলো করলে গরমেও শীতল থাকা সম্ভব হবে, যার প্রভাব পড়বে ত্বকেও।
৩. পর্যাপ্ত পানি পান : গরমে দেহ থেকে প্রচুর জলীয় উপাদান বের হয়ে যায় ঘামের সঙ্গে। এ পানিশূন্যতার প্রভাবে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। আর তাই দেহ ও ত্বকের প্রয়োজন মেটানোর জন্য প্রচুর পানি পান করা উচিত।
৪. রসাল ফল খান : গ্রীষ্মে দেহ ও ত্বকের জলীয় চাহিদা পূরণের জন্য তরমুজের মতো রসালো ফল বেশি করে খেতে হবে। এ ছাড়া খাবারে রাখতে হবে ডালের মতো উপাদান, যাতে রয়েছে প্রচুর পানি।
৫. সানস্ক্রিন : রোদে ত্বকের সুরক্ষার জন্য অনেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন। এগুলোতে এসপিএফ নামে একটি মাত্রা লেখা থাকে। যদিও এ মাত্রা বেশি থাকা মানেই তার কার্যকারিতা বেশি নয়। ২০ মাত্রাও আপনার ত্বক রক্ষা করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ‘ডুয়াল স্পেকট্রাম’ বা ‘ব্রড স্পেকট্রাম’ লেখা দেখে নিতে পারেন। এটি বেশি কার্যকর হতে পারে। এ ছাড়া ‘সান প্রটেকশন লোশন’ও ব্যবহার করতে পারেন, যা অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করবে। এ ছাড়া কিছু সানস্ক্রিনে ‘অ্যান্টি ট্যানিং’ উপাদান থাকে। এটি ত্বকের রং কালো হওয়া থেকে কিছুটা বাড়তি সুরক্ষা দেবে। বাইরে বের হওয়ার ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মাখলে সর্বাধিক উপকার পাওয়া যাবে।
৬. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা : গরমে ত্বক সুরক্ষার অন্যতম হাতিয়ার হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। বাইরের গরম, রোদ ও ধুলাবালি পার হয়ে ঘরে ফিরে অবশ্যই ভালোভাবে পরিষ্কার হতে হবে। প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করলে তা যথাযথভাবে তুলে ফেলতে হবে। অন্যথায় ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।