ঠোঁট শরীরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ। সুন্দর, মসৃন ঠোঁট আপনার চেহারার আকর্ষণ বাড়িয়ে দিতে পারে। ঠোঁটকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলতে কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন।
ডালিম ফুল পিষে রস বের করে ঠোঁটে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করলে ঠোঁটের কালচেভাব দূর হয়ে গোলাপী আভা ছড়াবে। ঠোঁটে গোলাপী আভা পেতে আপেলের রসও একইভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
অনেকের রোদে পুড়ে ঠোঁট কালো হয়ে যায়। এই সমস্যা দূর করতে সমপরিমান মধু ও লেবু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক রেখে নরম সুতি কাপড় দিয়ে আলতো করে মুছে ফেলুন। এই মিশ্রনটি ব্যবহারে ১ সপ্তাহে ঠোঁটের কালচেভাব দূর হবে।
ঠোঁটের নরমভাব আনতে পাকা পেঁপের সঙ্গে মাঠা মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
শশার রসের সঙ্গে সামান্য নারিকেল তেল নিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন। শশার রস ঠোঁটের কালো দূর করতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে।
ঠোঁটের চমক বাড়াতে গোলাপের পাপড়ি পিষে গ্লিসারিনের সঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এতে ঠোঁট গোলাপি হবে একইসঙ্গে নরম ও কোমল থাকবে।
জলপাইয়ের তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে স্কাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে দুদিন ঠোঁটে ব্যবহার করলে ঠোঁটের মরা চামড়া দূর হবে।
দিনে ৮ থেকে ১০গ্লাস পানি পান করুন। এতে শরীরের ডিহাইড্রেশন দূর হয়ে শরীর হাইড্রেট থাকবে। ঠোঁট ফাটা দূর হবে।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে গ্লিসারিন লাগিয়ে ঘুমাবেন। নিয়মিত গ্লিসারিন লাগালে ঠোঁট তার হারানো রঙ ফিরে পাবে।
জিহবা দিয়ে ঠোঁট ভেজানোর চেষ্টা করবেন না এবং মরা চামড়া উঠানোর চেষ্টা করবেন না। ঠোঁটে মরা চামড়া হলে পানি দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে লিপব্রাশ দিয়ে ঘষে মরা চামড়া তুলে ফেলুন।
ঠোঁট সব সময় শুকনো থাকলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নাভিতে কুসুম গরম খাটি সরিষার তেল লাগিয়ে ঘুমাবেন। এটি ভেতর থেকে ঠোঁট ফাটা দূর করবে।
নিম্নমানের লিপস্টিক ঠোঁটে লাগাবেন না। এবং বেশীক্ষণ ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে রাখবেন না। ঠোঁট ভালো রাখতে লিপস্টিকের বদলে লিপ আইস লাগিয়ে রাখতে পারেন।
চা, কফি ও অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাবেন না। অতিরিক্ত গরম খাবার খাবেন না। এতে ঠোঁট কালো হয়ে যায়। খাবার ঠাণ্ডা করে তারপর খাবেন।