ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক ময়েশ্চরাইজার

14

সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক যত্ন-আত্তির কোনো বিকল্প নেই। যেকোনো ঋতুতেই আমাদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাজারের ময়েশ্চারাইজার ত্বকের তেমন কোনো উপকারে আসে না। বরং ত্বকে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই এসব ত্বকের ক্ষেত্রে মুখে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় ত্বকের যত্নে কয়েকটি প্রকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের কথা বলা হয়েছে। চলুন, এক নজরে দেখে নিন কোন প্রাকৃতিক ময়েশ্চরাইজারটি আপনার ত্বকের জন্য কার্যকর-

তৈলাক্ত ত্বক
তেলতেলে ত্বক অনেকেরই পছন্দ। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের ফলে ত্বকে তেলের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। তাই এ ক্ষেত্রে ত্বকে প্রাকৃতিক ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করুন। জেনে নিন তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার কী কী-

অ্যাভোকাডো
অনেক রূপ বিশেষজ্ঞই পরামর্শ দিয়ে থাকেন ত্বকে অ্যাভোকাডোর রস ব্যবহারের জন্য। যা ত্বককে নরম ও উজ্জ্বল করে। অ্যাভোকাডোতে ভিটামিন-এ রয়েছে যা পরিষ্কার ও সুন্দর ত্বক পেতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন ও কপার। যা ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। রূপ বিশেষজ্ঞ সীমা রায় বলেন, অ্যাভোকাডো চটকে নিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের ভিতরে গিয়ে ত্বককে নরম ও মসৃণ করে এবং ত্বকে ময়েশ্চরাইজার ধরে রাখে।

কলা
কলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে যা ত্বকের রুক্ষ্মতা এবং খসখসে ভাব দূর করে। একটি কলা চটকে নিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকে ময়েশ্চরাইজারের কাজ করবে। আর কলার ভিটামিন সি প্রকৃতিকভাবেই ত্বককে উজ্জ্বল করে।

স্বাভাবিক ত্বক
স্বাভাবিক ত্বক সাধারণত শুষ্ক এবং তৈলাক্ত ত্বকের মিশ্রণে হয়ে থাকে। তাই যেকোনো ঋতুতে এই ত্বকে ময়েশ্চরাইজার ধরে রাখতে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন-

আঙুর
আঙুরে ভিটামিন এ থাকে। এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে এবং ত্বকের কোষকে সতেজ রাখে। আঙুরের রস একটি তুলার বলে নিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলের জন্য সপ্তাহে কয়েকবার ব্যবহার করুন। এ ছাড়া আঙুরের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকে প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনের কাজ করে।

শসা
শসার রস ত্বকে ময়েশ্চাইজার বজার রাখে এবং ত্বককে সুস্থ রাখে। এটি শরীর ও মুখের ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। এমনকি এর ভিটামান সি চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে এবং চোখের ফোলা ভাব কমায়।

শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের ঘাটতি থাকে। তাই এ ধরনের ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখতে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার বেশ কার্যকর।

নারিকেল তেল
এটি ত্বকের জন্য সবচেয়ে ভালো ময়েশ্চারাইজার এবং এটি মেকআপ রিমুভার এবং শরীরের স্ক্রাবার হিসেবেও কাজ করে। নারিকেল তেল ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করে ত্বককে আরো নরম ও মসৃণ করে। সেই সঙ্গে ত্বকে জমে থাকা ময়লা-জীবাণু দূর করে। আর চুলে নারিকেল তেল ম্যাসাজে চুল হয় শক্ত ও স্বাস্থ্যকর।

পেঁপে
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য পেঁপে বেশ কার্যকর। এটি ত্বকের মরা কোষ দূর করে। পেঁপের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে পুরো মুখে লাগান। এটি খুব সহজে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ফিরিয়ে আনে। পেঁপের ভিটামিন সি ত্বকের কালো দাগ দূর করে ত্বককে সুন্দর ও প্রাণবন্ত করে তোলে।