প্রতিদিন আমরা এমন অনেক খাবার খায় যে গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী না এবং অনেক নিম্ন মানের। খাবার গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকরও বটে। তাই প্রতিদিন আমাদের এমন খাবার খাওয়া উচিত যেগুলোতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের, এনজাইম মত পুষ্টি গুন । যে খাবার সুস্বাস্থ্য তৈরির এবং অসুস্থতা ও রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
সবুজ চা
গবেষনায় দেখা যায় সবুজ চা পানের ফলে ওজন কমে। সবুজ চায়ে ক্যাটচিন নামের এক ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষতাশক্তিশালী। সবুজ চা ওজন কমাতে খুবি উপকারি ভূমিকা পালন করে।
কাজুবাদাম
কাজুবাদামে আছে হার্ট-হেলদি অ্যাসিড যা মানুষের স্মৃতিশক্তিবৃদ্ধি করে। কাজু বাদাম শরীরের অস্বাভাবিক টিস্যু জন্মাতে রোধ করে যা টিউমার হতে রক্ষা করে। দৈনিক এটি খেলে শরীরের টাু মাত্রা কমিয়ে দেয় যা ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ক্যাপসিকামঃ
বাজারে পাওয়া যায় লাল, হলুদ, সবুজ নানা রঙের ক্যাপসিকাম। এ সবজি বা ফলটি বিশ্বের কোথাও চিলি পেপার, কোথাও বেল পেপার নামে পরিচিত। সবজি বা সালাদে কিংবা নুডলস পাস্তার সৌন্দর্য বাড়াতে এর জুড়ি নেই। কিন্তু সৌন্দর্য বাড়ানো ছাড়াও ক্যাপসিকামের আছে নানা উপকার। দৈনন্দিন চাহিদার প্রায় তিন গুণ ভিটামিন-সি পাওয়া যায় একটি ক্যাপসিকামে। এতে ক্যাপসেইসিন নামের যে উপাদান পাওয়া যায় তা স্নায়ু দিয়ে ব্যথার অনুভূতি বহনে বাধা দেয়।
টক দই
ডাক্তার বা পুষ্টিবিদেরা সবসময়ই টক দই খেতে পরামর্শ দেন। টক দই একটি lactic fermented খাবার এবং অত্যন্ত পুষ্টিকর ও হেলদি খাবার, কারণ এতে আছে দরকারী ভিটামিন, মিনারেল, আমিষ ইত্যাদি । এতে আছে vitamin B complex, calcium, phosphoras । টক দই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে । তাই গ্রীষ্মকালে টক দই খেলে ভালো। টক দই শরীরে টক্সিন জমতে বাধা দেয় । তাই অন্ত্রনালী পরিষ্কার রেখে শরীরকে সুস্থ রাখে ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ বা অকাল বার্ধক্য করে।
আপেল
আপেল ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে । আপেলের মধ্যে পেকটিন জাতীয় একটি উপাদান থাকে যা শরীরকে কোলন ক্যান্সার থেকে দূরে রাখে। ফুসফুসের ক্যান্সার ও লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধেও আপেলের ভূমিকা আছে। হার্ট ভালো রাখে আপেলে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট উপাদানসমূহ, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে প্রতিদিন গড়ে ৩টি আপেল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ সহজ হয়।
পালং শাক
পালং শাকে রয়ে্ছে ১০০গ্রাম পালং শাকে কার্বোহাড্রেট থাকে প্রায় ৩.৬ গ্রাম, প্রোটিন থাকে ১.৫ গ্রাম, ফ্যাট থাকে ০.১ থেকে ১.০ গ্রাম। এছাড়া ভিটামিন-A, ভিটামিন-B, ভিটামিন-C, ভিটামিন-E, ভিটামিন-K রয়েছে। ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, প্যাটি অ্যাসিড ও থাকে। পালং শাক পেট পরিষ্কার রাখতে অপরিহার্য। তাছাড়া রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে, দৃষ্টিশক্তিও বাড়ায়। ক্যানসার প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে পালং শাক অপরিহার্য।
ডিমঃ
প্রতিদিন সকালের নাস্তায়ে একটি মাত্র ডিম খেলে মাসে প্রায় ৬৫% ওজন কমে যায়। ডিমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।