অফিসের বসের সঙ্গে অনেক সময়ই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আবার এমনও হয় যে, বস আগে থেকেই আপনার বন্ধু। যাইহোক না কেন, কর্মস্থলে বস বন্ধুর মতো হলে আপনার কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। নিন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৭টি টিপস।
১. পেশাদার থাকুন : বন্ধু বা বন্ধুসুলভ বস যার সঙ্গেই কাজ করেন না কেন, আপনার পেশাদার মনোভাব বজায় রাখতে হবে। অফিসে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করবেন না। পরিবেশ থাকলেও কর্পোরেট আচরণ বজায় রাখবেন। কারণ বসকে তার স্থানে একটা বিশেষ অবস্থা মানিয়ে চলতে হয়। সেখানে আপনি চাইলেও এমন আচরণ করতে পারেন না।
২. কাজ ও বন্ধুত্ব আলাদা রাখুন : কর্মস্থলে কাজকে কাজের স্থানেই রাখুন। ব্যক্তিগত জীবনকে আলাদা করে নিন। জীবনের অনেক বিষয়ের প্রভাব পড়বে কাজে। কিন্তু সে বিষয়ে অফিসে বন্ধুসুলভ বসের সঙ্গে কথা বলবেন না।
৩. বিশেষ সুবিধা নয় : স্রেফ বন্ধু বা ভালো সম্পর্ক বলে বসের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা আশা করবেন না। এর জন্যে তাকে চাপও দেবেন না। যদি করেন তবে সহকর্মীদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক খারাপ হবে। আপনি তাদের সন্দেহের দৃষ্টিতে পড়ে যাবেন।
৪. গঠনমূলক সমালোচনা : বন্ধুর কাছ থেকে অফিসে কটুক্তি শোনা ভালো নাও লাগতে পারে। আপনাকে বুঝতে হবে, যে কাজে অন্যকে বস ধমক দিতে পারেন, একই কাজে আপনাকেও দিতে পারেন। একে গঠনমূলক করে নিন। কাজেই এসব কথায় বন্ধুর সঙ্গে যেভাবে রাগ করতেন, তা বসের সঙ্গে করতে যাবেন না।
৫. পদক সম্মান দিন : যিনি আপনার বস, তাকে অবশ্যই সম্মান করেন আপনি। বন্ধু বস হয়ে গেলে পদমর্যাদাবলে তিনিও আপনার কাছ থেকে সম্মান পাবেন। তাই অফিসে তাকে অবশ্যই বসের সম্মান দিয়ে চলুন।
৬. আলোচনা করে নিন : বন্ধুসুলভ আলোচনাটা বাইরে হতে পারে। দুই বন্ধুর মধ্যে একজন প্রমোশন পেয়ে অপরের বস হয়ে যেতে পারেন। এই পরিবর্তনের ফলে আপনাদের আচরণ কেমন হবে তা নিয়ে বাইরে আলোচনা করে নিতে পারেন। এতে ভালো বোঝাপড়া থাকবে।
৭. ক্ষোভ প্রকাশ করবেন না : কাজের হিসাব দেখে যদি আপনার বন্ধু প্রমোশন পেয়ে যান, তবে তাকে শুভেচ্ছা জানান। কর্তৃপক্ষের কাছে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করবেন না। হয়তো আপনার বন্ধুই ভালো করছেন। যার কারণে তার প্রমোশন হয়েছে। পেশাদার আচরণ বজায় রাখুন।
সূত্র : ইন্টারনেট