রোগ প্রতিরোধক
অ্যালভেরা বা ঘৃতকুমারীতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, ফলিক এসিড, বি ১, বি ২, বি ৩, বি ১২। প্রায় ২০ রকমের মিনারেলস যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, সোডিয়াম, আয়রন পটাসিয়াম, কপার ইত্যাদি। মানবদেহের জন্য ২২টি অ্যামিনো এসিড প্রয়োজন আর এর মধ্যে ৮ টি উপাদান থাকা অনস্বীকার্য। প্রধান ৮ টি উপাদানসহ আনুমানিক ২০ টি অ্যামিনো এসিড অ্যালভেরায় বিদ্যমান। তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস অ্যালভেরার সরবত খেলে অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ হয়।
ত্বকের যত্নে
অ্যালোভেরা পাতার রস নিয়মিত ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং রোদে পোড়াভাব দূর হয়। এটি সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপকারী। কারণ এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। অতি সংবেদনশীল ত্বক কিংবা ব্রণ ওঠার প্রবণতা যাদের বেশি, তারা অ্যালোভেরা থেকে অনেক বেশি উপকার পাবেন। বিশেষ করে ত্বক কোমল ও মসৃণ করতে এবং ত্বকে ব্রণের দাগ দূর করতেও অ্যালোভেরার রস দারুণ কাজে দেয়। তুলো দিয়ে অ্যালোভেরার রস ত্বকে মেখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। কয়েকদিনের মধ্যেই তফাৎ আপনার চোখে পড়বে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
ওজন কমানোর বিষয়টি নিয়মিত জিম করার ওপর নির্ভর করে মাত্র ১০ শতাংশ। আর বাকি ৯০ শতাংশ নির্ভর করে আমরা যে খাবারগুলো খাচ্ছি তার আত্মিকরণের ওপর। প্রতিদিন সকালে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরার রস পানি দিয়ে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে হজম শক্তি বাড়বে, পরিপাকতন্ত্র সতেজ থাকবে এবং সেই সঙ্গে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য। আর ওজনতো নিয়ন্ত্রণে থাকবেই।
চুলের যত্নে
পাতার শাঁস প্রতিদিন একবার তালুতে নিয়ম করে লাগালে মাথা ঠাণ্ডা হয়৷ অ্যালোভেরার রস মাথার তালুতে ঘষে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাবে। শ্যাম্পু করার আগে আধা ঘণ্টা অ্যালোভেরার রস পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন। এতে চুল ঝরঝরা ও উজ্জ্বল হবে।
নিয়মিত অ্যালোভেরার শরবত খাওয়া চুলের জন্য ভালো। এতে চুল পড়া অনেকাংশে কমে যায়। খুশকি কমাতেও এটি সহায়ক। অ্যালোভেরায় আছে অ্যালোমিন নামক উপাদান, যেটি চুল লম্বা করতে সাহায্য করে।
দাঁতের যত্নে
এটা আপনার মুখের যত্ন নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অ্যালোভেরার রয়েছে বহু ঔষধি গুণাগুণ, যার মধ্যে মাড়ির সুরক্ষার গুনটিও পড়ে। অ্যালোভেরা পাতা নিয়ে এর ভেতরের জেল বের করে তা মাড়িতে ঘষে নিন এবং অ্যালোভেরার জেলটি খানিকক্ষণ মুখে রেখে দিন। তারপর মুখের ভেতরের অংশ ভাল করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিনিয়ত করলে দেখবেন মাড়ি থেকে রক্ত পড়া একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
ঘৃতকুমারীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। ঘৃতকুমারী পাতা থেকে চামচ দিয়ে রস বের করে নিন। এরপর এই রসে কিছুটা পানি মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খান। তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দুই ই দূর হয়ে যাবে ।