দায়ী পরিবার। এর জন্য ওদের দোষ দিয়েও লাভ নেই। কারণ, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে
স্কুলে যাওয়া, তারপর বাড়ি ফিরে টিভি দেখা বা ভিডিও গেম খেলা। ফলে ফিজিক্যাল
অ্যাক্টিভিটি খুব কম হয়। আর বাবা-মাও এত ব্যস্ত থাকেন সবসময় বাচ্চাদের জন্য টিফিন
বানিয়ে দেওয়াও সম্ভব হয় না ফলে বাইরের খাবারের দারস্থ হতে হয়।
অনেকেই আছেন যারা অশান্তি এড়াতে বাচ্চারা যা খেতে চায়, তাই দিয়ে দেন। গবেষণায়
দেখা গেছে ১০-১৫ বছর বয়সী যে সমস্ত বাচ্চারা ওভারওয়েট তাদের বেশিরভাগই ২৫ বছর
বয়সে গিয়ে ওবেস হয়ে যায়। তাই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, ওজন স্বাভাবিক রেখে,
কী করে সেই ওজন মেনটেন করবেন।
সবসময় আপনার মেয়েকে বা ছেলেকে বোঝাতে হবে ফিট থাকা কত জরুরি। ওজন অতিরিক্ত
বেড়ে গেলে শরীরের কী কী ক্ষতি পারেন সেটা ভাল করে বোঝান। আর ফুড হ্যাবিটের
ক্ষেত্রে বলব সব বাচ্চারই এখন এই সমস্যা।
বাইরের খাবারের আকর্ষণ অনেক বেশি, ফলে বাড়ির খাবার তাদের মুখে রোচে না। তবে
এতে ওদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। খাবারের স্বাদ যদি ভাল না হয়, তা হলে খেতে কারই
বা ভালো লাগবে। আপনাকে একটু বুদ্ধি করে আপনাকে আপনার সন্তানের ডায়েট প্ল্যান করতে
হবে। খাবার এমন হবে যাতে যথাযথ পুষ্টি থাকবে আর খেতেও সুস্বাদু হয়। রোজ একই
খাবার না দিয়ে একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেতে দিন। বাইরের জাঙ্ক খাবারের রিপ্লেসমেন্ট
খুঁজে বার করুন। যেমন ধরুন আপনার মেয়ে বার্গার খেতে চাইছে, দোকান থেকে কিনে না
দিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন। হুইট ব্রেড বা মাল্টিগ্রেন ব্রেড ব্যাবহার করুন আর তার
সঙ্গে সয়াবিন, গাজর, বিন সব মেখে প্যাটি তৈরি করুন। ডিপ ফ্রাই না করে, নন স্টিক
তাওয়ায় হালকা রোস্ট করে নিন। খাবারের স্বাদ যদি বজায় থাকে, তা হলেই দেখবেন
আপনার বাচ্চাটি কিন্তু বাইরের খাবার ভুলে বাড়ির খাবার নিজে থেকেই খেতে চাইবে।
ওকে টিফিনে চিকেন স্যান্ডুইচ দিতে পারেন। কোনোদিন আবার ময়দা, দুধ, ডিম,
বাদামগুঁড়ো দিয়ে প্যানকেক তৈরি করে দিলেন। না হলে সবজি ও চিকেন দিয়ে রোল
(অবশ্যই কম তেল দিয়ে) তৈরি করে দিলেন। টিফিনের সঙ্গে প্রতিদিন কয়েকটা করে খেজুর
দিয়ে দেবেন। বাড়িতেই কিন্তু সব খাবারই তৈরি করা যায়।পাশাপাশি খাবার পরিবেশন
করার সময় সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। এতে ওর খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। আর
দেখুন বাচ্চারা তো বড়দের দেখেই শিখবে। তাই ওর সঙ্গে সঙ্গে আপনাকেও কিন্তু যতটা
সম্ভব বাইরের খাওয়ার কম খেতে হবে। তবে খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে এক্সারসাইজ করা খুব
দরকার। আপনার মেয়েকে জগিং, স্কিপিং, যোগব্যয়ম করতে বলুন। এতে ওজন নিশ্চিতভাবে
কমবে।