আধুনিক সজ্জায় কনট্যাক্ট লেন্স একটি জনপ্রিয় উপকরণ। ফ্যাশন প্রিয়দের কাছে সজ্জায় পূর্ণতা পেতে কনট্যাক্ট লেন্সের গুরুত্বও অনেক বেশি। তাই কসমেটিকস লেন্সের পাশাপাশি পাওয়ারফুল লেন্সেরও কদর বেড়ে চলেছে দিনের পর দিন। দৃষ্টিশক্তি রক্ষা এবং সজ্জায় জাক-জমক ভাব আনা, দুটোতেই কনট্যাক্ট লেন্স ভূমিকা রাখছে সমানভাবে। কনট্যাক্ট লেন্স পাতলা বক্র আকৃতির প্লাস্টিক ডিস্ক যা কর্নিয়াকে ঢেকে রাখে। নানা রঙের লেন্স শুধু মাত্র চোখের সৌন্দর্য পরিবর্তন করে, কিন্তু চোখের দৃষ্টির উন্নতি ঘটায় না। তবে পাওয়ার সমৃদ্ধ কনট্যাক্ট লেন্স চশমার বিকল্প হিসেবেও অনেকে ব্যবহার করেন। আসুন আজ জেনে নেয়া যাক কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারে চোখের ক্ষতিসহ আরও কিছু বিষয়।
লেন্স পরার নিয়ম
প্রথমে লেন্সটিকে আঙ্গুলের ডগায় নিয়ে কাপের মত শেপ বানান। এবার তর্জনীর মাথায় নিয়ে সরাসরি চোখের সামনে নিন। এমন ভাবে তাকান যেন আপনি ওই কাপের দিকে তাকিয়ে আছেন। তারপর চোখ বড় বড় করে লেন্সটি চোখের মনির ওপর পরে ফেলুন।
ক্ষতিকারক দিক
চোখের সজ্জায় কনট্যাক্ট লেন্সের সঠিক ব্যবহার না হলে অনেক বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সেই সব সমস্যার মধ্যে চোখের সংক্রমন, কর্নিয়াল আলসার অন্যতম। এছাড়াও কর্নিয়াল আ্যাবরাশন, অ্যালার্জি, অন্ধত্ব, দৃষ্টি শক্তি কমে যেতে পারে। সারাক্ষণ লেন্স পরলে চোখে এক ধরনের প্রোটিন তৈরী হয় আর সেখান থেকেই শুরু হয় সংক্রমন। চোখের জ্বালাপোড়া, চুলকানো ইত্যাদি হতে পারে। লেন্স পরার পর যদি চোখে অস্বস্তি হয়, অতিরক্ত পানি পড়ে, লাল হয়ে ফুলে যায় অথবা ব্যথা করে তাহলে বুঝবেন চোখের সংক্রমন হয়েছে। তাই কনট্যাক্ট লেন্স যদি পরতেই হয়, তাহলে অবশ্যই এর যত্ন নেয়া জরুরি। সেজন্য-
প্রথমত লেন্সটিকে পরিস্কার রাখতে হবে। পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে শুধু মাত্র ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী নেয়া সলিউশন ব্যবহার করবেন।
প্রত্যেকবার ব্যবহারের পর নতুন সলিউশনের মধ্যে ডুবিয়ে রাখবেন। অনেকেই একই সলিউশনে বারবার ব্যবহার করেন। এটা একদম ঠিক না। লেন্স ব্যবহার করার পর প্রথমে পরিস্কার করবেন, শুকিয়ে নেবেন তারপর নতুন সলিউশন দিয়ে লেন্স ধুয়ে সংরক্ষণ করবেন।
লেন্স সংরক্ষনের জন্য কখনই ডিস্টিলড ওয়াটার, ট্যাপের পানি অথবা ঘরে বানানো স্যালাইন ব্যবহার করবেন না। এতে চোখের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে লেন্স আর ব্যবহার করবেন না। কারণ মেয়াদ উত্তীর্ণ লেন্স চোখের চরম ক্ষতি করে দিতে পারে।