কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অত্যন্ত পরিচিত একটি সমস্যা। দেহের ভেতরে যদি বর্জ্য পদার্থ আটকে থাকে এবং বেরতে না পারে তাহলে অনেক সমস্যা শুরু হতে পারে শরীরে। এদিকে কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য আপনি যদি বেশি চিকিৎসা করাতে শুরু করেন, ওষুধ খেতে শুরু করেন সেক্ষেত্রে তা আপনার অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যেতে পারে। যার ফলে শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যহত হতে থাকে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করার সবচেয়ে ভাল উপায় হল ঘরোয়া টোটকা। তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ঘরোয়া টোটকায় সমাধান হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
ডাল ও বিনস
ডাল ও বিনস-এ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে অথচ কোলেস্ট্রলের মাত্রা থাকে কম। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় যোগ করুন ডাল বা বিনস, তবে মাথায় রাখবেন বেশি খাবেন না তাহলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
আলুবোখারা
আলুবোখারায় পটাশিয়াম ও ভিটামিট এ প্রচুর পরিমাণে থাকে। যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দুর্দান্ত কাজে আসে। আলুবোখারার রস করেও খেতে পারেন।
শণ বীজ বা ফ্ল্যাক্স সিডস
এই বীজে ফাইবার ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বহুল পরিমাণে থাকে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে অত্যন্ত উপযোগী।
বাধাকপি
বাধাকপি শরীরের বর্জ্যপদার্য বের করতে সাহায্য করে। রোজকার খাদ্যতালিকায় তাই অবশ্যই রাখুন বাধাকপি।
ক্যাস্টর অয়েল
ক্যাস্টর অয়েল পেট পরিষ্কার করে এবং পেটের ভিতরের অস্বস্তিকে দুর করে। এক গ্লাস পানিতে ২ টেবিল চামচ ক্যাস্টর তেল মিশিয়ে নিন। এবং খেয়ে নিন। উপকার পাবেন।
ডাবের পানি
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর হলে ডাবের পানি সবচেয়ে কাজে। তবে বেশি ডাবের পানি খেলে পাতলা পায়খানার সমস্যা হতে পারে।
অ্যালোভেরা জুস
অ্যালোভেরা জুসও কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য উপকারি। যদিও অতিরিক্ত পান করলে ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জুস পান না করাই বাঞ্ছনীয়।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
১ চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু মেশান। সকালবেলা খালি পেটে এই মিশ্রণটি খেয়ে নিন। কোষ্ঠকাঠিন্য সারানোর এটাও উল্লেখযোগ্য টোটকা।