গোপন কথাটি আর রবে না গোপনে! ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফি দেখার নেশা থাকলে সাবধান, যেকোনো মুহূর্তে গোটা দুনিয়া জেনে যাবে আপনার এই ‘পাপের’র কথা। জেনে রাখুন, চেষ্টা করেও মুছতে পারবেন না ওয়েব দুনিয়ায় আপনার ফেলে যাওয়া পদচিহ্ন, যার সাহায্যে হাতে-নাতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
২০১৩ সালের এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে ৩ কোটি মার্কিন নাগরিক ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রতিদিন যৌন বিষয়বস্তু সমৃদ্ধ ছবি বা ভিডিও দেখেন। বিপুল আমেরিকান জনসংখ্যার মাত্র এই কয়েকজন পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত? আসলে অনেকেই সত্য গোপন করে গিয়েছেন। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ নেই, কারণ অত্যাধুনিক ওয়েব প্রযুক্তির সাহায্যে সহজেই জেনে ফেলা সম্ভব প্রকৃত সংখ্যা। বস্তুত, কে, কখন, কতক্ষণ ধরে পর্নোগ্রাফি উপভোগ করছেন, তা তার ওয়েব-টহলের বহর লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে।
সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ব্রেট টমাসের মতে, ‘যদি ২০১৫ সালে পর্নোগ্রাফি দেখেন তাহলে আশা রাখতেই পারেন যে যে কোনও মুহূর্তে আপনার ব্রাউজিং হিস্ট্রি আপনার নামের সঙ্গে নেট জগতে ফাঁস হয়ে যাবে।’ তার যুক্তি, যে কোনও ব্রাউজারের একটি ইউনিক কনফিগারেশন থাকে। নেটে ক্লিক করে বেড়ানোর সময় সেই কনফিগারেশনের সূত্র ধরে ইউজারের নেট-গতিবিধি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জোগাড় করা সম্ভব। আসলে নেট ঘাঁটতে গিয়ে আমরা এ ভাবেই পায়ের ছাপ ফেলে রেখে যাই। এবার একটির সঙ্গে আরেকটি পদচিহ্ন জুড়ে ইউজারের অভীষ্ট স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
টমাসের বক্তব্য, প্রায় প্রতিটি ওয়েবসাইট তাদের ট্র্যাকিং এজেন্টের সাহায্যে যে পরিমাণ তথ্য সেভ করে, তার সুবাদে ব্রাউজারে ফেলে রাখা পায়ের ছাপের সঙ্গে ইউজার অ্যাকাউন্টের সংযোগ স্বাভাবিক ভাবেই তৈরি হয়ে যায়। আসলে পর্ন সাইট খুঁজতে গিয়ে অজান্তেই আমরা সেই সমস্ত সাইট অ্যাডমিনকে এমন সমস্ত তথ্য দিয়ে ফেলি যার সাহায্যে নিজস্ব কম্পিউটার পর্যন্ত ট্র্যাক করা সম্ভব। টমাসের আশঙ্কা, ভবিষ্যতে এই সূত্রে হ্যাকারদের হাত ধরে বাড়তে পারে সাইবার অপরাধের পরিমাণ।
তাই কম্পিউটারের ব্রাউজিং হিস্ট্রি ডিলিট করে যারা নিশ্চিন্ত বোধ করছেন, তাদের জন্য বিশেষ সতর্ক বার্তা জারি করেছেন সফ্টওয়্যার বিজ্ঞানী ব্রেট টমাস। সূত্র: ওয়েবসাইট।