খাদ্যাভ্যাস
ফিমেলফার্স্ট ডটকো ডটইউকে’র এক প্রতিবেদনে লন্ডন ভিত্তিক পুষ্টিবিশেষজ্ঞ এরিন ম্যাককান বয়স অনুযায়ী শরীরে স্বাভাবিক ও সুন্দরভাবে যাতে ছাপ ফেলতে পারে সে ব্যাপারে খাবারের পুষ্টি নিয়ে পরামর্শ দেন।
১। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি
শরীরের প্রদাহ কমানো, কোষের ক্ষতিপূরণ এবং সারা শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যা বিভিন্ন রকম স্থায়ী রোগ যেমন: হৃদপিণ্ড সম্বন্ধীয় রোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার হওয়া থেকে বিরত রাখে। পাশাপাশি দুষণ ও সূর্যের রশ্মীর জন্য ক্ষতি হওয়া ত্বক মেরামত করে বুড়োটেভাব দেখানো কমায় এবং চামড়ার নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাড়ানোর উপায়
* বেশি করে ফল খাওয়া। যেমন বেরি বা জাম এবং লেবুজাতীয় ফল ও নানান ধরনের সবজি, শাকপাতা এবং লাউজাতীয় সবজি খাওয়া।
২। ফ্যাটি অ্যাসিড
ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিডের সমন্বয়ের মাধ্যমে শরীরের প্রদাহ কমিয়ে এনে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি কোষ সুরক্ষা করা যায়।
এই দুই ফ্যাটি অ্যাসিডের সমন্বয় করতে প্রয়োজন
* পরিশোধিত ও ফাস্টফুড খাওয়ার অভ্যাস কমানো।
* বেশি করে মাছ খাওয়া।
* বাটার, মার্জারিনের পরিবর্তে নারিকেল তেলে রান্না। (যদিও আমাদের দেশে এর প্রচলন কম।)
৩। খাবারে সামঞ্জস্য
গবেষণায় দেখা গেছে শরীরে বেশি ইন্সুলিন থাকলে তাড়াতাড়ি বুড়োটে দেখাতে সাহায্য করে। রক্তে শর্করা ও ইন্সুলিনের সমতা বজায় রাখার উপায় হচ্ছে:
* খাদ্যতালিকায় জটিল শর্করা (কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেইটস) রাখা, যথেষ্ট পরিমাণে নিরামিষ বা চর্বিহীন প্রাণীজ প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত সবজি খাওয়ার অভ্যেস করা।
* সকাল দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝে সবজিজাতীয় খাবার বা ওটকেকস বা গুণগতমান সম্পন্ন স্ন্যাকস খাওয়ার অভ্যেস করা যাতে শরীরে শক্তি বজায় রেখে ইন্সুলিনের মাত্রা ঠিক রাখতে পারে।
উত্তেজক পানীয় খাওয়া কমানো, যেমন: কফি, যা ইন্সুলিন তৈরির পরিমাণ বাড়াতে পারে।
৪। ব্যায়াম
শুধু ওজন কমাতেই নয়, পাশাপাশি শরীরে শক্তি বৃদ্ধি, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং হাড় শক্ত করতেও সাহায্য করে শরীরচর্চা।
এজন্য দরকার
* প্রতিদিন অন্তত বিশ মিনিট দ্রুত গতিতে হাঁটা।
* না হলে, সুযোগ পেলেই সিঁড়ি ব্যবহার করা বা গন্তব্যে হেঁটে যাওয়া।
* সম্ভব হলে ইয়োগা বা ব্যায়ামাগারে যেয়ে শরীরচর্চা করা।
৫। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বয়স বাড়ার সঙ্গে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণত কমে যায়। যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হয় তাহলে শরীরে বয়সের ছাপ কম পড়ে। রোগ সংক্রমণ ও দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে রক্ষা পেতে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকা জরুরি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে
* পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম।