আজকালের এই আধুনিক সময়ে বেশিরভাগ বিয়েই ভালোবাসার বিয়ে হয়ে থাকে অথবা পরিচিত কারো সাথে পারিবারিক ভাবেই বিয়ে হয়ে থাকে। আগের মতো একেবারে অজানা কারো সাথে নতুন করে পরিচিত হয়ে পাত্র-পাত্রী দেখার মতো বিয়ে এখন কমই দেখা যায়। তবুও একেবারেই যে এমনটা হয় না তা কিন্তু নয়। পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের জন্য অনেকেই দেখা করতে যান আগের মতোই। কিন্তু মাত্র দুএকবার দেখা হয়ে কথা বলে পুরোজীবনের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া আসলেই অনেক কষ্টের। তাই কথা বলার সময় জেনে নেয়ার চেষ্টা করুন যতোটা সম্ভব।
নিজের জন্য সঠিক মানুষটি নির্বাচন করতে তার সম্পর্কে জেনে নিন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো।
শখ এবং পছন্দ
একজন মানুষকে বুঝতে হলে সবচাইতে জরুরী তার শখ এবং পছন্দ সম্পর্কে জেনে নেয়া। মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রতিচ্ছবি তার শখের মাধ্যমেই প্রতিফলিত হয়। এবং সেই সাথে তার পছন্দ অপছন্দও অনেকটা প্রকাশ করেন তিনি মানুষ হিসেবে ঠিক কেমন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও ক্যারিয়ার
পাত্র এ পাত্রী দুজনেরই যে একই ধরণের চিন্তাভাবনা থাকবে তা কিন্তু নয়। যদি ছেলেটি চান তার স্ত্রী গৃহিণী থাকুন, মেয়েটি তা নাও চাইতে পারেন। প্রথম দেখাতেই এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে ফেললে জীবনসঙ্গী নির্বাচনে সুবিধা হবে দুপক্ষেরই।
বিয়ের বন্ধন থেকে তার আশা ও ইচ্ছা
মানুষ বিয়ে ঠিক কি কারনে করে থাকেন তার উত্তর একেকজনের কাছে একেক ধরনের হবে। কিন্তু মূল বিষয় কিন্তু একটিই তা হলো নিজের জীবনের সাথে নিজের মতোই আরেকজনকে জড়িয়ে নেয়া যার সাথে জীবনের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়া যায়। তাই দুজনেরই প্রয়োজন নিজেদের সম্পর্কে জেনে নেয়া যে বিয়ের পর তারা দুজনের কাছ থেকে কি চান।
পরিবার সম্পর্কে চিন্তাভাবনা
বিয়ের মাধ্যমে শুধু দুজন নয়, দুটি পরিবার যুক্ত হয়। তাই দুজনের পরিবার সম্পর্কে কি ধারণা তা প্রথম দেখাতেই একটু জেনে নেয়ার চেষ্টা করা উচিত। দুজনে একই সাথে থাকার ব্যাপারটি ঠিক কীভাবে চান এবং পরিবারের প্রতি দায় দায়িত্ব পালনের বিষয়টিও খোলামেলা আলোচনা করাই ভালো।
জীবনযাপনের ধরণ
মানুষ একেকধরনের হয়েই থাকে এবং নারী ও পুরুষ ভেদে অবশ্যই জীবনযাপনের ধরণ পুরোপুরি আলাদা হয়েই থাকে। কিন্তু তারপর দুটি পরিবারের আলাদা ধরণের স্ট্যাটাস এবং জীবনযাপনের ভিন্নতায় মতের অনেক অমিলই থাকতে পারে। প্রথম দেখাতে সরাসরি কথা বলে এই ধরনের মিল অমিল গুলো জেনে নেয়া উচিত। এতে করে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনেক বেশি সহায়তা হবে।