প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবন জুড়ে। যখন কেউ এই ফাঁদে পা দেন, তখন অন্য কিছু মাথায় রাখা খুবই মুশ্কিল। নতুন সম্পর্ক একটু পুরনো হলে একে অপরের নানা খামতি চোখে পড়তে শুরু করে। এর জেরে অনেক সম্পর্কই ঠিক করে গড়ে ওঠার আগেই ভেঙে যায়। বিশেষত, যখন পুরুষসঙ্গী বয়সের সঙ্গে ম্যাচিউর না হন। আপনার সঙ্গীটিও কি অপরিণত? বুঝবেন কী ভাবে? জেনে নিন লক্ষণগুলি:
১. পাকাপাকি সম্পর্কে যেতে না চাওয়া: ডেটিং, রেস্তোরাঁয় খাওয়া-দাওয়া, ঘুরতে যাওয়া পর্যন্ত সব বিন্দাস। কিন্তু সম্পর্কের ভবিষ্যত্ কী, সে প্রশ্নেই ভ্যাবাচ্যাকা খেলে বুঝতে হবে, হয় সঙ্গী আপনার সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘ দিন রাখতে চান না, বা বয়সের তুলনায় তিনি নন।
২. আমার ভুল হয় না: খুব সাংঘাতিক বাক্য। এমনটা যদি কারও মুখে সর্বদাই লেগে থাকে তবে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার আগে ভাবুন। এ স্বভাব সহজে যায় না। যদি আপনি তাঁকে চোখে আঙুল দিয়ে ভুল দেখিয়ে দেন, তবুও তিনি কোনও অজুহাত ঠিক খাড়া করবেনই। অথবা আপনাকেই উল্টে ভুল স্বীকার করতে হবে। এটা অপরিণত হওয়ারই অন্যতম লক্ষণ।
৩. Steady Job না থাকা: বিশ্বের সকল কলিগ খারাপ, অফিসের বস খারাপ, শুধু তিনিই ভালো। তবে দুঃখ এই যে, কেউই তাঁর ভালোটা দেখতে পান না। এ অজুহাতে কোনও চাকরিতেই স্থায়ী হতে পারেন না তিনি। কথায়-চিন্তায় নিজের সম্পর্কে বিরাট ধারণা, কাজের বেলায় নেই। এটা অপরিণত হওয়ার চূড়ান্ত উদাহরণ।
৪. আগেও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক না থাকা: আপনিই একমাত্র সঙ্গী নন, আগেও অন্য নারী তাঁর জীবনে এসেছেন। তবে সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। স্থায়ী কতটা, বড় জোর এক মাস, দু’ মাস। খুব সাবধান। এমন ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক করার আগে ভাবুন।
৫. অল্পতে ভেঙে পড়া: যাকে বলে ফুলের ঘয়ে মুর্ছা। সামান্য কিছু হলেই বিচলিত হয়ে পড়া, অথবা কথা বন্ধ করে দেওয়া— এ সব কিছুই অপরিণত হওয়ার লক্ষণ। ভবিষ্যতে সম্পর্কের মধ্যে জটিলতা এলে তিনি আপনার হাত ছাড়তে দ্বিধা করবেন না।
৬. সিন্ধান্তহীনতায় ভোগা: কি খাবেন, কোথায় যাবেন এমনকী কোথায় চুল কাটাবেন, এ কথাও যদি আপনাকে বলে দিতে হয়, তবে জানবেন বয়ফ্রেন্ড বা স্বামী ‘আঁচলের তলায়’ থাকতে ভালোবাসেন। আপনি যদি এমন কাউকে পছন্দ করেন তো ল্যাঠা চুকে গেল। না হলে ভবিষ্যতে পাগল-পাগল লাগতে পারে। কারণ, আপনার মনে হতে পারে একজন পূর্ণ বয়স্ক ‘শিশু’কে মানুষ করার দায়িত্ব পেয়েছেন আপনি।
৭. আত্মসুখী বা স্বার্থপরতা: সব কিছু ফেলে আগে নিজের জিনিস দেখা। উদাহরণ চাই। বাইকে করে দু’জনে ডেটিংয়ে বেরিয়েছেন। হঠাত্ দু’জনেই পড়ে গেলেন। তবে আপনাকে আগে না তুলে বাইকটিকে আগে দাঁড় করালেন। এমনটা যদি হয়, তবে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো। মনোবিজ্ঞানীদের মতে যাঁদের স্বভাব এমন, তাঁদের অদূর ভবিষ্যতে পাল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে।