অকারণে ঝগড়া
সঙ্গী অথবা সঙ্গীনীর মনে যদি অন্য কারো স্থির বসবাস থাকে, তবে দুজন কেউ কাউকে সহ্য করতে পারেন না। ঝগড়া করার জন্য তুচ্ছ নানা কারণ খোঁজার প্রতিযোগিতা শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। সামান্য কোনো অভিযোগ পেলেই তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলতে উদ্যত হন তারা। একটা পর্যায়ে তারা একে অন্যকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। স্বামী কিংবা স্ত্রীর ঘরের প্রতি একদমই টান থাকে না। এমন সমস্যার কোনো সমাধানও দুজনের কেউ খুঁজে পান না।
অতীতকে টেনে আনা
স্বামী-স্ত্রীর জীবনে অতীতে ঘটে যাওয়া কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা বার বার টেনে তুলে আনা সম্পর্কের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এমন দাম্পত্যে দেখা যায়, কথার প্যাচে একে অন্যকে ঘায়েল করতে ব্যস্ত থাকেন। স্ত্রী তার স্বামীর পরিবারের সদস্যদের একদমই সহ্য করতে পারেন না। ঠিক একই আচরণ দেখা যায় স্বামীর আচরণেও।
মতের পার্থক্য
স্বামী-স্ত্রীর মতের পার্থক্য প্রকট আকার ধারণ করে। যৌথভাবে কোনো সিদ্ধান্তই তারা নিতে পারেন না। দু’জনই নিজের অবস্থানকে সঠিক প্রমাণ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। একপক্ষ মনে করতে থাকে তার আত্মমর্যাদায় আঘাত দেওয়ার চেষ্টা করছে অপর পক্ষ। একে অন্যকে স্বার্থপর বলেও ভাবতে শুরু করেন।
ঈর্ষা
মনের অজান্তেই চুপিসারে ঈর্ষা ঢুকে পড়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে। সঙ্গীর ওপর থেকে আস্থা পুরোপুরি উঠে যায়। একটা পর্যায়ে তারা একে অন্যকে অবজ্ঞা করতে শুরু করেন।
আত্মকেন্দ্রিকতা
স্বামী-স্ত্রী নিজ নিজ স্বার্থের বাইরে আর কিছুই ভাবতে পারেন না। তারা নিজেকে উপেক্ষিত বলে মনে করতে থাকেন। সংসারকে আর নিজের বলে মনে হয় না। একটা সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ‘আমাদের’ বলে আর কিছু থাকে না। আত্মকেন্দ্রিক হয়ে ওঠেন দুজনই।
যোগাযোগ বন্ধ
এক পর্যায়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সে দাম্পত্যে আশ্চর্য এক নীরবতা ভর করে। তারা কথা বলা বন্ধ করে দেন এবং একে অন্যের ছায়াও মাড়ান না। কোনো দম্পতির মধ্যে এমন আলামত নিশ্চিত বিবাহ-বিচ্ছেদের পথে হাঁটার নামান্তর বটে।
প্রতারণা
বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার আগে অনেক ক্ষেত্রে স্বামী কিংবা স্ত্রীর কেউ একজন প্রতারণার আশ্রয় নেন। পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তাদের কেউ কেউ। পরকীয়া নিশ্চিতভাবেই একটা বিয়ে এবং পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়।