দুশ্চিন্তা বা উদ্বিগ্নতা এমন একটা রোগ, যা থেকে সহজে পরিত্রাণ পাওয়ার কোনো উপায় নেই। নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি যেমন বললেই মাদকাসক্তি ত্যাগ করতে পারে না, একইভাবে এই মানুষগুলোও চাইলেই দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারে না। এর জন্য দরকার দীর্ঘ অনুশীলন এবং ধৈর্য। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কাজগুলো করলে নিজেকে দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখা যায়।১. এই সমস্যায় আক্রান্ত মানুষগুলোকে প্রথমেই মেডিটেশনের আশ্রয় নিতে হবে। বিক্ষিপ্ত মনকে একাগ্র করতে না পারলে কিছুতেই নিজেকে দুশ্চিন্তা মুক্ত করা সম্ভব নয়। অনেকে অ্যান্টি ডিপ্রেশন ওষুধ খেয়ে থাকেন এমন সমস্যায়। এই ওষুধ সাময়িক উপকার করলেও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অত্যন্ত ক্ষতিকর, যা মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে।
২. যে কাজটা করতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে, সেই কাজটা করতে হবে। নিজেকে সবসময় ভালো ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। কাজগুলোর একটা নোট রেখে প্রধান্য দিয়ে শুরু করতে পারেন।
৩. দুশ্চিন্তা গ্রস্ত মানুষ সাধারণত অসামাজিক হয়ে থাকে, অর্থাৎ এরা অন্যদের সঙ্গে মিশতে চায় কম। একসময় এদের মানুষের সঙ্গে মেশার প্রবণতা বা সক্ষমতা হারিয়ে যায়। কিন্তু একমাত্র সামাজিকতাই পারে মানুষকে অনেক সহজভাবে বাঁচাতে। তাছাড়া নিজ সমস্যার কথা অন্যের সঙ্গে আলোচনা করলে অনেক সময়ই সহজ সমাধান বেরিয়ে আসে যা দুশ্চিন্তাকে প্রকারান্তরে কমিয়ে আনে।
৪. অনেকগুলো কাজ জমে গেলে এবং তার থেকে দুশ্চিন্তার উদ্ভব হলে সবচেয়ে সহজ কাজটা থেকে শুরু করা উচিত। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে এবং পরবর্তী জটিল কাজগুলো সহজ হয়ে যায়।
৫. ছুটির দিনে প্রিয় স্থানে বেড়াতে যাওয়া যেতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয়, খোলামেলা স্থানে বেড়াতে গেলে। উন্মুক্ত পরিবেশ মানুষের মনকে প্রসারিত করে, যা নতুন উদ্ভাবনী চিন্তাকে তরাণ্বিত করে।
৬. সকাল সকাল ঘুম থেকে জাগা এবং রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস করতে হবে যেভাবেই হোক। এতে দেহমন চনমনে থাকে।
সবচেয়ে বড় কাজটা হচ্ছে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলা। নিজের অবস্থানেই সন্তুষ্ট থাকা। জীবনের অনেক না পাওয়াকে না ভেবে মনকে বোঝাতে হবে আমি যা পেয়েছি তাতেই আমি সুখি। জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পরিকল্পনা ঠিক করা এবং সেইভাবে এগিয়ে যাওয়া।