দূর হোক টি-জোনের তৈলাক্ত ভাব

মুখের অন্যন্য অংশ ঠিক আছে কিন্তু টি-জোনটা অত্যধিক তৈলাক্ত। নাক, কপাল আর থুতনি মিলে যে টি-জোন, সেখানে অতিরিক্ত তেল নষ্ট করছে সৌন্দর্য। তবে এবার আপনি সেটার সমাধানে কিছু উপায় বের করে নিতে পারেন। অন্তত যাদের ত্বক তৈলাক্ত বা মিশ্র তারা এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। জেনে নিন তেমনই কিছু টিপস।

রোমকূপ পরিচ্ছন্ন রাখুন: সাধারণত ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রান্ডে তেল তৈরি হয় আর সেটা রোমকূপ দিয়েই বের হয়ে আসে। তাই ত্বককে তেলমুক্ত রাখতে হলে আপনাকে রোমকূপ পরিচ্ছন্ন রাখতেই হবে। ভালো পিএইচ ব্যালান্স আছে এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য তৈরি এমন কোনো ক্লিনজার বেছে নিন। আর যাদের শুষ্ক ত্বক তারা সারাবছর অয়েল কন্ট্রোল করে এমন ক্লিনজার ব্যবহার করাই যৌক্তিক।

দিনে অন্তত পাঁচবার মুখ ধোন: তেল থেকে মুক্তির সবচেয়ে উপকারী উপায় হলো মুখ ধোয়া। সকালে মুখে অনেক তেল তৈরি হয়ে থাকে তাই সকালেই মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। কাজে যাওযার সময় ব্যাগে ক্লিজার বহন করুন। আর মনে করে বারবার মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন।

পানিযুক্ত ময়েশ্চারাইজার: অনেকে তেল এড়িয়ে চলতে মুখে কোনো ময়েশ্চারাইজারই ব্যবহার করেন না। কিন্তু এটা ত্বকের জন্য খুবই দরকারি। ময়েশ্চারাইজার না লাগালে আপনার ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে উঠবে পাশাপাশি আরো বেশি তেল তৈরি করবে। পানিযুক্ত ময়েশ্চারাইজার কিনে নিন। এটা ত্বককে তেলমুক্ত রাখতে সাহায্য করবে। মিশ্র ত্বকের অধিকারিরা হালকা ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে পারেন। টি জোনে অল্প করে লাগিয়ে বাকি ত্বকে পুুরু করে ময়েশ্চারাইজার লাগান।

গোলাপজলের স্প্রে: ত্বকে গোলাপজল স্প্রে করলে সেটা ত্বককে আরো রিফ্রেশ করবে। ছোট্ট একটা স্প্রে বোতলে গোলাপজল বহন করতে পারেন। টি জোনে হালকা করে দেবার জন্য কটনবাড ব্যবহার করতে পারেন। একটা বাড়তি উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ব্লটিং পেপার: সবসময় মুখ ধোয়া সম্ভব না হলে কাজে আসতে পারে ব্লটিং পেপার। বাজারে এখন সহজেই পাওয়া যায় এটা। যখন মুখে বেশি তেল জমে যাবে। তখন এক টুকরো ব্লটিং পেপার দিয়ে মুখটা মুছে ফেলতে পারেন। দেখবেন তেল নিয়ন্ত্রণে আসবে বেশ।

অ্যালোভেরার যত্ন: অ্যালোভেরা ত্বকের টিস্যুকে পুষ্টি যোগায় আর পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। টি-জোনে অ্যালোভেরার জেল লাগান। বাড়তি তেল আর তৈরি হবে না। অ্যালোভেরার জেল লাগানোর পর ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ফলাফল নিজেই টের পাবেন।

Exit mobile version