অনিদ্রার কারণ:
ঘুম না আসার পেছনে রয়েছে নানা কারণ। মানসিক এবং শারীরিক সমস্যার সঙ্গে পরিবেশগত নানা কারণেও অনিদ্রা দেখা দিতে পারে।
ভয়, হতাশা, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, ঝগড়া, চাকরিগত সমস্যা, অসুখী যৌনজীবন।
বিষন্নতা, উদ্বিগ্নতা, আঘাত-পরবর্তী মানসিক চাপ।
হৃদরোগ, হাঁপানি, মেনোপজসহ নানা অসুখ।
ঘুমের প্যাটার্ন চেঞ্জ হলে।
রাতের শিফটে কাজ করা।
আরামদায়ক বিছানা না হলে কিংবা নির্দিষ্ট বিছানা পরিবর্তন হলে।
নিকট-আত্মীয় মারা গেলে।
বিদেশ ভ্রমণে সময়ের পার্থক্য হলে।
করণীয়:
কী কারণে ঘুম হচ্ছে না প্রথমে তার কারণ খুুঁজে বের করতে হবে। শারীরিক কোনো অসুস্থতা কিংবা মানসিক চাপ থেকে ঘুমে সমস্যা হলে সেই কারণটি দূর করতে হবে।
ঘুমের সময় অর্থাৎ রাত ১১টার আগে বা পরে বিছানায় যাওয়া যাবে না। শুধু ঘুমের সময়ই বিছানায় যেতে হবে।
শব্দহীন, স্নিগ্ধ ও নিরিবিলি পরিবেশ, আরামদায়ক ও পরিপাটি বিছানা, বালিশ, বাতি নিভিয়ে কিংবা হালকা আলো জ্বেলে শোয়ার পরিবেশ তৈরি করুন।
বিছানায় যাওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে ঘুম না এলে এপাশ-ওপাশ করে অর্থাৎ জোর করে ঘুমের চেষ্টা করে সময় নষ্ট করা যাবে না। বরং উঠে বোরিং লাগে এমন কোনো কাজ করুন। কিছুক্ষণ পরে আবার বিছানায় যেতে হবে। আবার ২০ মিনিট চেষ্টা করে ঘুম না এলে উঠে যেতে হবে।
অনিদ্রা সমস্যা থাকলে বিকালে ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন।
সন্ধ্যার পর চা, কফি খাওয়া যাবে না।
লেটুস ঘুমের জন্য খুবই উপকারী। লেটুসে অ্যান্টি-ক্র্যাম্পিং এজেন্ট থাকে, যা ঘুম আসতে সাহায্য করে।
ঘুমানোর অন্তত দেড় থেকে দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাওয়া শেষ করতে হবে।
শোয়ার আগে আগে এক গ্লাস গরম দুধ কিংবা এক গ্লাস পানি খেয়ে নিন।
ঘুম এলে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাতে যাওয়া উচিত। ঘুমের সময় দীর্ঘ সময় ধরে কোনো কাজ করা উচিত নয়।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন।
ক্ষুধা নিয়ে বিছানায় ঘুমাতে যাওয়া উচিত নয়।
মাদক ও ধূমপান বর্জন করুন।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে গোসল করে নিতে পারেন। এতে ফ্রেশ লাগবে ও ভালো ঘুম হবে।
দুপুরে বেশি ঘুমানো উচিত নয়।
সতর্কতা:
অনেকেই ঘুম না হলে নিজে নিজেই মাঝে মধ্যে ঘুমের ওষুধ কিনে খান। আবার অনেকেই আছেন যারা চিকিৎসক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঘুমের ওষুধ খেতে বললেও ভালো ঘুম আসছে দেখে নিয়মিত ওষুধ খাওয়া চালিয়ে যান। যার কোনোটাই উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ঘুমের ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। আর ঘুমের ওষুধ কখনোই একটানা ২১ দিনের বেশি খাওয়া উচিত নয়।