কতো কারনেই মন খারাপ থাকে আমাদের। কিন্তু মন যত খারাপ-ই থাক থাক, নিজের কাজগুলো তো শেষ করতে হবে। সেজন্য সারাদিন মন খারাপ করে, মুখ ভার করে না রেখে মন ভালো করার পথ খুঁজি…
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর শতকরা ৬৫ ভাগ লোক নিজেকে দুঃখী ভাবতে ভালোবাসে। কারণ তারা বেশির ভাগ সময়ই নিজেকে দুঃখী ভাবে, তার দুঃখগুলোকে নিয়েই সব সময় পড়ে থাকে। অনেক সময় সে দুঃখে এত বেশি আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে যে তাতে সে নিজেই বুঝতে পারে না আসলে কোন কারণটি তার মন খারাপের জন্য দায়ী। কিন্তু দুঃখ নিয়ে পড়ে থাকলে তো জীবন চলে না। তাই চলুন মন খারাপ ভুলে জীবনকে উপভোগের চেষ্টা করি। সারাদিন দুঃখের কথা না ভেবে চলুন সুখের গল্প গাঁথি। একটু হাসি…
মন ভালো থাকার সবচেয়ে বড় ওষুধ হাসি। হাসলে এনডরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা আমাদের মেজাজ ভালো করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, হাসলে হৃদপিণ্ডও ভালো থাকে। ক্যালোরিও পোড়াতে সাহায্য করে হাসি। তাই মন খুলে হাসুন। আগপাছ না ভেবে নিজেকে আর নিজের চারপাশকে ভালোবাসুন। দেখবেন, জীবনটা সবুজ পাতার মতো সতেজ হয়ে উঠছে।
এছাড়া শারীরিক দূর্বলতার কারনেও বিষন্নতা পেয়ে বসতে পারে। তাই তিনবেলার খাবারের মেনুতে দেখুন, ঠিকঠাকমতো সব ধরনের ভিটামিন আছে কিনা। আর মন ভালো করার আর এক সাংঘাতিক অস্ত্র শরীরচর্চা। নিয়মিত শরীরচর্চা আপনার মন-মেজাজ ভালো করতে ভূমিকা রাখে। ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয় যা আপনাকে চিন্তাভাবনা থেকে নিষ্কৃতি দেবে। শরীরচর্চার ফলে মস্তিষ্কে নিঃসৃত হওয়া এনডরফিন এবং অ্যানান্ডামাইড এ কাজটি করে। এ ছাড়াও ব্যায়ামে মনোনিবেশ হওয়ায় মাথায় অন্য কোনো চিন্তা তেমন আসেও না। তাই প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট সময় বের করুন শরীরচর্চার জন্য।
এছাড়া হুটপাট ঘুরতে একটু বেড়াতে যেতেই পারেন মাঝেমধ্যে। এ প্রবনতা আপনার মনকে সতেজ করে তুলবে। বেড়াতে গেলে আপনি ভুলেই যাবেন মন খারাপের গল্প।
টুকিটাকি টিপস :
১. সকালে উঠে কাজে ঝাঁপিয়ে না পড়ে অন্তত ১৫ মিনিট সময় নিজের জন্য রাখুন। অল্পস্বল্প শরীরচর্চা, মেডিটেশন করলে শরীর ও মনে প্রশান্তি আসবে। সমস্যার মোকাবেলা সহজে করতে পারবেন।
২. শরীরচর্চায় একেবারে অনীহা থাকলে টবের গাছে পানি দেওয়া বা পাখিকে খাওয়ানোর মতো টুকটাক কাজ করুন। মন হালকা থাকবে।
৩. অফিস যাওয়ার আগে মুড খারাপ থাকলে একটু বেশি সাজগোজ করুন। সাধারণ ফরমাল পোশাক না পরে একটু রুচিসম্মত সুন্দর শাড়ি পরুন। সঙ্গে শখের জুয়েলারি এবং হালকা মেকআপ। নিজেকে ফিটফাট, সুন্দর লাগলে মেজাজের উন্নতি ঘটবেই।
৪. অফিসে কোনো কারণে মুড-অফ হলে সোজা বাড়ি না গিয়ে একটু শপিং করুন। শপিং শেষে কোনো ফাস্টফুডে বসে কিছু খেয়ে বাড়ি ফিরুন। দেখবেন নিজের অজান্তেই মুড-অফ কোথায় পালিয়েছে।
৫. হাসির ফুসরত পেলেই একটু হেসে নিন । দেখবেন মন ভালো হয়ে গেছে।