মানসিক শান্তি আনার কিছু উপায়

দিন যতই গড়াচ্ছে জীবনটা আরও বেশি যান্ত্রিক হয়ে পড়ছে। এখন আনন্দ খুঁজে নিতে নিতে মানুষ আর প্রকৃতির দারস্থ হয় না। বরং এক্ষেত্রে তারা আশ্রয় নেয় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী যেমন টিভি, মোবাইল ও ইন্টারনেট প্রভৃতির। এসব কাজে আগের মতো সেই মানসিক শান্তি আর আসে না। তারপরও ব্যস্ততম জীবনে মানুষ চায় একটু শান্তি। এক্ষেত্রে করতে পারেন এমন কিছু কাজ যা মানসিক শান্তি আনার পাশাপাশি শরীরকেও সুস্থ রাখবে।

জেনে নিন মানসিক শান্তি আনতে কী কী করবেন-

গভীরভাবে শ্বাস নিন
জীবনের যে কোন সংকটময় মুহূর্তে গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যাবে। এজন্য কাজের ফাঁকে অন্তত কয়েকবার হলেও গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন।

লেখা, বাগান ও সঙ্গীতচর্চা করুন
নিয়মিত লেখার অনুশীলনের মাধ্যমেও মানসিক শান্তি নিয়ে আসা সম্ভব। এই কাজগুলো সাধারণত সৃজনশীল কর্ম হিসেবে অনূদিত। চাইলে বাগান করা কিংবা সঙ্গীতও চর্চা করতে পারেন। এতে সহজেই মানসিক তৃপ্তি আসবে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সৃজনশীল কাজ করার সময় যদি আপনি কম্পিউটার, ইন্টারনেট কিংবা টিভি চালু রাখেন তাহলে এসব উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। কাজেই এসব কাজ করুন একমনে।

থালাবাসন পরিষ্কার করুন
খুব সূক্ষ অনেক বিষয় থেকেই আপনি সুখানুভূতি নিতে পারেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো থালাবাসন ধোয়ার কাজটি। এটি অনেকের কাছে খুব বিরক্তিকর মনে হলেও বিষয়টি কিন্তু অনুভূতি ঝালিয়ে নেওয়ার একটি দারুণ সুযোগ হতে পারে। থালাবাসন ধোয়ার সময় হাতের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পানি কিংবা আঙুলের মাঝে সাবানের বুদবুদ অনুভব করুন। দেখবেন মানসিক শান্তি পাবেন।

যোগব্যায়াম করুন
প্রতিদিন সকালে যোগব্যায়াম করলে তা অনেক উপকারে আসে। এর ফলে সারাদিনের সব কাজকর্ম ঠাণ্ডা মাথায় করা সম্ভব হয়। এতে সব কাজে সফল হওয়ার পাশাপাশি মানসিক শান্তিও আসে। কাজেই প্রতিদিন সকালে যোগব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।

মাটিতে পা রাখুন
যে কোন কাজে মনোযোগ ফিরিয়ে আনার অন্যতম উপায় হলো মেঝেতে পা রাখা। কাজেই যখনই কোন কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারবেন না তখনই মেঝেতে পা রেখে তা অনুভব করার চেষ্টা করুন। এতে কয়েক মুহূর্তের জন্য হলেও দেহ ও মনে শান্তি আসবে।

হাঁটুন
কাজের বিরতিতে মানসিক শান্তি আনতে একটু হাঁটাহাটি করাটাও কার্যকর মাধ্যম হতে পারে। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা কিংবা খোলা বাতাসে হেঁটে যাওয়ার সময় পায়ের প্রতিটি পদক্ষেপ, বাতাসের তাপমাত্রা ও বায়ুর অনুভূতি অনূভব করার চেষ্টা করুন। এতেও মানসিক শান্তি পাবেন।

তথ্যসূত্র: হাফিংটন পোস্ট

Exit mobile version