১) কম বয়সে মা হবার সবচাইতে বড় দিকটি হচ্ছে নিজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খুব খেয়াল দিতে হবে। বাচ্চা হবার আগে তো বটেই, বাচ্চা হবার পর চাই আরও অনেক বেশী যত্ন। একটু রুটিন মাফিক জীবনযাত্রা আপনাকে আবার আগের মত করে তুলবে সহসাই।
২) পিতা-মাতা হওয়া অনেক বড় একটি দায়িত্ব এবং এটি একটি সার্বক্ষণিক কাজ। আপনারা বয়সে তরুণ বলে অনেক কিছুই হয়তো ঠিকমত বুঝবেন না কিংবা কম বুঝবেন। এইসব ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ মানুষ তথা মুরুব্বীদের সহায়তা নিন।
৩) সন্তান পালন তথা সন্তানের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলুন। নিশ্চিত না হয়ে কিছুই করবেন না সন্তানের ক্ষেত্রে।
৪) সন্তান এসেছে, এবার ভবিষ্যৎ গড়ার পালা। সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে ফেলুন এবং একটি অংশের সঞ্চয় রাখুন কেবলই সন্তানের জন্য।
৫) হ্যাঁ, সন্তান হয়েছে এবং তাঁকে ঘিরেই আপনাদের জীবন। সন্তানকে দেখেশুনে রাখাটাই এখন আপনাদের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য। কিন্তু তাই বলে পরস্পরকে সময় দিতে ভুলবেন না। বরং একটু সুযোগ পেলেই ব্যয় করুণ কিছু রোমান্টিক মুহূর্ত।
৬) সন্তান হবার পর বেশিরভাগ দম্পতিরই এই অভিযোগ থাকে যে তাঁদের সম্পর্কে কোথায় যেন একটি দূরত্ব চলে এসেছে। এই দূরত্বটা কোনভাবেই আসতে দেবেন না নিজেদের মাঝে। বরং সচেতন থাকুন যে কোন দূরত্ব দ্রুত মিটিয়ে ফেলার ব্যাপারে।
৭) আপনাদের যৌন জীবন ও পরবর্তী পারিবার পরিকল্পনা অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করেই ঠিক করুন। এক্ষেত্রে পরিবারের চাপ কিংবা নিজেদের আবেগকে প্রাধান্য দেবেন না।
৮) দুজনেই চেষ্টা করুন আগের চাইতে একটু বেশী বাস্তববাদী হয়ে উঠতে, কাজে আসবে আপনাদেরই।