আলজেইমার্স বা ডিমেনসিয়া বর্তমানে বেশ আলোচিত একটি বিষয়। আলজেইমার্স বলতে সাধারণত স্মৃতিভ্রংশতাকে বোঝায়।
সাধারণত ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সের নারী-পুরুষদের মধ্যেই এ রোগ বেশি দেখা যায়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সেই আলজেইমার্স ধরা পড়ে।
এর রোগের কারণ হিসেবে মানসিক ও পারিপার্শ্বিক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অন্যতম।
এজন্য আলজেইমার্স প্রতিরোধে খাদ্য তালিকায় বেশকিছু খাবার এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। এক নজরে দেখে নিন সেগুলো:
পনির
রান্না করা পনির মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আমেরিকান চিজ ও মজ্জারেলা চিজ শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে, যা কিনা স্মৃতিভ্রংশের অন্যতম কারণ।
অ্যালকোহল
অ্যালকোহল বা নেশাজাত পানীয়তে নাইট্রাইটস পদার্থ থাকায় তা শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্য উভয়ের জন্যই সমান হারে ক্ষতিকর। নাইট্রাইটস আলজেইমার্সের ঝুঁকি বাড়ায়।
মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন
বাড়িতে বসে বা সিনেমা হলে মুভি দেখার সময় যে পপকর্ন আমরা খাই, তার অধিকাংশই মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন। এ রেডিমেড ইন্সট্যান্ট পপকর্নে ডাইঅ্যাসেটাইল (এক প্রকার জৈব উপাদান যা মাখন জাতীয় খাবারে দেওয়া হয়) নামে এক প্রকার কেমিকেল দেওয়া থাকে যা মস্তিষ্কে স্থায়ী অ্যামাইলয়েড প্লেক সৃষ্টি করে। শরীরে উৎপন্ন হওয়া প্রোটিনের অংশগুলো ডাইঅ্যাসেটাইলের প্রভাবে মস্তিষ্কে যে ঘন আবরণ সৃষ্টি করে, সেটাই হচ্ছে অ্যামাইলয়েড প্লেক। আর এটাই ধীরে ধীরে আলজেইমার্সের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তৈলাক্ত মাংস
যেকোনো খাবারই বেশি তেলে ভাজা হলে বা বেশি তেলে রান্না হলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। মাংসও এর ব্যতিক্রম নয়। আমাদের দেশে গরু, খাসি, মুরগি বা যেকোনো মাংস অতিরিক্ত তেল ও মসলা দিয়ে রান্না করা হয়। এসব তরকারি, গ্রিল বা বারবিকিউতে নাইট্রোজঅ্যামিন (এক প্রকার জৈব উপাদান যা ক্যান্সার সৃষ্টি করে) নামে এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি যকৃতে ক্ষতিকারক চর্বি উৎপাদন করে যা মস্তিষ্ককে সহজেই আক্রান্ত করে।
এসব খাবার সহজেই মস্তিষ্কে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যার ফলাফল হিসেবে স্মৃতিভ্রংশ দেখা দেয়।
তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে যা মস্তিষ্ককে সবল রাখে, মনযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। দেখে নিই সেগুলো।
. ঠাণ্ডা পানির মাছ। যেমন- স্যালমন।
. সবুজ শাকসবজি
. গাঢ় রঙের ফলমূল। যেমন- জাম, আঙ্গুর।
. ক্যাফেইন সমৃদ্ধ খাবার ও পানীয়। যেমন- ডার্ক চকলেট ও কফি।
এছাড়াও রান্নায় তেল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েল। নারকেল তেলও স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে। খাদ্য তালিকায় প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। এড়িয়ে চলুন চিনি ও টক্সিন জাতীয় খাবার।