কাজপাগল মানুষরা কর্মক্ষেত্রে সব সময় ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু পছন্দের কাজ হলেও বেশ কিছু কারণে অফিসে সম্মান হারাবেন আপনি। এখানে জেনে নিন এমনই কিছু অভ্যাসের কথা যার কারণে আপনাকে আর সম্মান করবে না কেউ।
১. প্রযুক্তির যুগ বলে কথা। অফিসের কাজ থেকে শুরু করে অফিস পার্টির ছবি বা সেলফি যদি একের পর এক শেয়ার করতে থাকেন, তবে তা প্রথমে ভালোই লাগবে। কিন্তু এসব বিষয় বিস্তারিতভাবে অতিরিক্ত শেয়ার করলে অনেকের কাছে তা নাও ভালো লাগতে পারে। তা ছাড়া অনেকের কাছে তা গোপনীয়তা ভঙ্গ বলেও মনে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনার প্রতি সহকর্মীদের শ্রদ্ধবোধ থাকবে না।
২. প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গেলে নানা সমস্যা থাকতেই পারে। এতে আপনার নানা অভিযোগ উঠে আসতে পারে। কিন্তু ক্রমাগত অভিযোগ করে যাওয়া ভালো কাজ নয়। এতে সহকর্মী এবং বসরা আপনাকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করবেন।
৩. অফিস থেকে দুই-একটি জিনিস চুপিসারে নিয়ে যাওয়া বা কোনো বিষয়ে মিথ্যা বলাটা অনেকের কাছে তেমন বিপদজনক বলে নাও মনে হতে পারে। অনেক বিষয় ছোট মনে হলেও তা শেষ পর্যন্ত অনৈতিক আচরণ হিসেবেই বিবেচ্য। এগুলো এক সময় বড় হয়ে প্রকাশ পায়। তখন সম্মান হারাবেন।
৪. প্রতিদিন কাজের চাপ একেকরকম থাকতে পারে। কিন্তু মাঝে মধ্যেই বরাবরের কাজে ঢিল দিলে তা সবার নজরে পড়বে। এক সময় কাজপাগল কর্মী হিসেবে আপনাকে আর কেউ সম্মান করবে না।
৫. একদিন বা দুই দিন অফিসে দেরি করে আসতেই পারেন। কিন্তু নিয়মিত দেরি করে আসাটা অভ্যাসে পরিণত হলে সবার কাছে সম্মানের আসন ধরে রাখতে পারবেন না।
৬. অজুহাত তৈরির নানা ধরন রয়েছে। যদি নাটকীয়ভাবে একেক সময় একেক অজুহাত তৈরির অভ্যাস গড়ে ওঠে, তবে এমন আচরণ মূল্যহীন হয়ে পড়বে। কারো সম্মান পাবেন না।
৭. গসিপ খুবই চালু একটি বিষয়। তাই বলে গসিপ ছড়ানোর হোতা হওয়াটা কিন্তু কেউ ভালো চোখে দেখে না। কারণ, গসিপ খারাপ কিছু ঘটিয়ে দিলে সবাই আপনার দিকে আঙ্গুল তুলবে। তখন সম্মানের আসন হারাবেন।
৮. সহকর্মী বা অধঃস্তনদের সঙ্গে কর্কশ ব্যবহার করবেন না। এ অভ্যাস অফিসে আপনার চরিত্রটিকে বিরক্তিকর বানিয়ে দেবে। সবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন আপনি। সম্মানজনক অবস্থায় থাকবেন না।
৯. অফিসে ড্রেসকোড না থাকলেও সব সময় ক্যাজুয়াল পোশাকে উপস্থিত হওয়া সবাই ভালো চোখে দেখেন না। এক সময় সবার চোখে দৃষ্টিকটু ঠেকবে বিষয়টি।
১০. কুটিলতা সব সময় গ্রহণযোগ্য হয় না। সবার সঙ্গে জটিল ও কুটিল আচরণ করতে থাকলে এক সময় সেখানে অবস্থান ধরে রাখতে পারবেন না।
১১. অন্যের দোষ সবার সামনে তুলে ধরার বিষয়টি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। কিন্তু অপরের দোষ তুলে ধরাকে কৃতিত্ব বলে মনে করলে সহকর্মীরা ত্যাগ করবেন আপনাকে। সম্মান তো থাকবেই না। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার