লিপস্টিক হচ্ছে এক প্রকার প্রসাধনী দ্রব্য যা বিভিন্ন রকম রঞ্জক পদার্থ, তেল, মোম, এবং ত্বক কোমলকারী পদার্থের সন্নিবেশে তৈরি হয়, এবং মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে তা ঠোঁটে প্রয়োগ করা হয়। লিপস্টিক বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। লিপস্টিক সাধারণত নারীদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়, এবং রূপসজ্জার কার্য ব্যতীত ছেলেরা এটি ব্যবহার করেন না। নারীদের ক্ষেত্রেও বয়সন্ধিকালে রয়েছেন এমন মেয়ে বা তরুণীরা সচারচর লিপস্টিক ব্যবহার করেন না, কারণ সেসময় ঠোঁটের প্রাকৃতিক রং ও ভাঁজ, সর্বোপরি সৌন্দর্য, অটুট থাকে।
লিপস্টিকের এর ক্ষতিকারক প্রভাব গুলি হল-
১) লিপস্টিকে ক্ষতিকারক সীসা থাকায় তা ব্যবহারকারীর বুদ্ধিমত্তা, আচরণ ও শিক্ষণ দক্ষতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা।
২) গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে লিপস্টিক থেকে অনাগত সন্তানের দেহে সীসার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ারও ঝুঁকি আছে বলে জানানো হয়েছে পিটিআই এর খবরে।
৩) ব্যক্তিগত প্রসাধনী পণ্য পরিষদের প্রধান বিজ্ঞানী হালিনা ব্রেসলয়েক বলেছেন, “আপনি যদি জনস্বাস্থ্যে সীসার প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হন, তাহলে আপনি লিপস্টিকের দিকে তাকাবেন না।”
তবে অতীতের তুলনায় বর্তমানে লিপস্টিকে সীসার ব্যবহার কমছে- সাম্প্রতিক এ গবেষণায় সেটিই দেখা গেছে।
এর আগে ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ পরিচালিত এক গবেষণায় লিপস্টিকে উচ্চ মাত্রার সীসা উপস্থিতি ধরা পড়েছিল।
কিন্তু এবারে তার তুলনায় সীসার মাত্রা অনেক কম পরিলক্ষিত হয়েছে। এ প্রবণতা আশাব্যাঞ্জক বলেই মনে করছেন গবেষকরা।