১. রক্তস্বল্পতার কারণে দুর্বলতা অনুভব
রক্ত স্বল্পতা অর্থাত্ রক্তে হিমোব্লবিন কমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। কিন্তু সঠিকভাবে ধরতে পারেন না। যদি আপনি সবসময়েই বেশ দুর্বলতা অনুভব করতে থাকেন তাহলে এটি আপনার রক্তস্বল্পতা রোগের লক্ষণ হতে পারে। রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন এবং প্রয়োজনে চিকিত্সা করান।
২. ডায়বেটিসের কারণে দুর্বলতা
রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়া এবং ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়ার পাশাপাশি অনেক বেশি দুর্বল অনুভব করাও ডায়বেটিসের লক্ষণ। কারণ রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে স্বাভাবিক দেহের কর্মকাণ্ডে সমস্যা তৈরি হয়, যার ফলে অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠা এবং দুর্বলতা অনুভব করে থাকেন রোগীরা।
৩. বিষণ্নতায় ভোগার কারণে
মানসিক চাপের কারণে যে বিষণ্নতার সৃষ্টি হয় তার মাধ্যমে দেহে আসে দুর্বলতা। অনেক বেশি মানসিক চাপে থাকলে আমাদের মস্তিস্কের অনেক বেশি পরিমাণে কাজ হয়। বিষণ্ন থাকলে আমরা খুব বেশি চিন্তা করতে থাকি। এতে করে মস্তিষ্কের ওপর অনেক চাপ পড়ে। ফলে মস্তিষ্ক অবসাদগ্রস্থ হয় এবং আমাদের দেহও দুর্বলতা অনুভব করে। তাই বেশি মানসিক চাপ নেওয়া বন্ধ করুন ও বিষণ্ন থাকবেন না।
৪. শারীরিক পরিশ্রম না করার ফলে
বেশি কাজের চাপ ও মানসিক চাপে যেমন দুর্বলতা আসে, তেমনই আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে অলসতাতেও দুর্বলতা ভর করে দেহে। আপনি যতো বেশি নিজেকে অলস করবেন ততো আপনার দেহ দুর্বল হতে থাকবে। কিছুটা কাজ করা এবং সামান্য মানসিক চাপ নেওয়া আপনার দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করবে। এতে আপনি থাকবেন সবল।
৫. প্রয়োজনের তুলনায় অনেক অল্প খাবার খাওয়া
যখনই দুর্বলতা অনুভব করবেন তখনই নিজের খাবারের তালিকার দিকে নজর দিন। যদি আপনার খাবারের তালিকায় সুষম খাবার না থাকে যা আপনার দেহের জন্য বেশ প্রয়োজনীয় তবে আপনার দেহ দুর্বল হয়ে পড়ে আপনাআপনিই। তাই সুষম খাবার খান এবং একবারে না পারলে প্রতি ৩/৪ ঘণ্টা অন্তর অন্তর সামান্য কিছু হলেও খাবার খান।
৬. পানিশূন্যতার কারণে দুর্বলতা
পানিশূন্যতা দেহে রক্তের পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দেয়। এতে করে শরীর হয়ে পড়ে দুর্বল। আপনি অনুভব করেন দুর্বলতা। তাই পানি পানের অভ্যাসে আনুন পরিবর্তন। হেলথ এক্সপার্টদের মতে দিনে ৬-৮ গ্লাস পানি পান করা উচিৎ সকলের।